বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১৯ পিএম
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর যোগ্য ব্যবস্থাপনায় ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বিজিআইসি।
বিশেষ প্রতিবেদন :
‘সেবাই আমাদের শক্তি’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে স্থায়িত্ব এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সাথে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশের বেসরকারি বীমা খাতের প্রথম নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্স কোম্পানী পিএলসি। বাংলাদেশে প্রথম সারির যে কয়টি নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান সেরা অবস্থানে থেকে বীমা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে তার মধ্যে বিজিআইসি অন্যতম। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানটিকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৩
টি শাখার মাধ্যমে সম্পত্তি বীমা, নৌ বীমা, মটর বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, বিদেশে চিকিৎসা বীমা, ইঞ্জিনিয়ারিং বীমা, বিবিধ বীমাসহ বিভিন্ন পণ্য সেবার মাধ্যমে বীমা সেবা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্স কোম্পানী পিএলসি। দেশ বিদেশের প্রতিষ্ঠিত প্রথিতযশা একঝাঁক ডাইনামিক ব্যক্তিত্ব পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ে গঠিত পরিচালনা পর্ষদ, যার চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনাব তওহিদ সামাদ।
আর এই অগ্রগামী নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও’র গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছেন নন-লাইফ বীমা পেশার কিংবদন্তী আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী। যার গুণগত নেতৃত্বে ব্যবস্থাপনায় ধারাবাহিক সমৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জনাব আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অনার্স), এম.কম (ম্যানেজমেন্ট) এবং সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ অধ্যয়ন সম্পন্ন করার পরপরই ১৯৮৬ সালে জুনিয়র অফিসার হিসেবে বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্সে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর মেধা, যোগত্য এবং কর্মতৎপরতার জন্য তিনি ১৯৮৭ সালে হিসাব বিভাগের ইনচার্জ হয়ে পদোন্নতি পেয়ে বিজিআইসি’র জোনাল অফিস চট্রগ্রামে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বীমা পেশার গভীরতা উপলব্ধি, সততা, পরিশ্রম এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ পদ অবলিখন, ফিন্যান্স, প্রশাসন, শাখা নিয়ন্ত্রণ, পুনঃবীমা, দাবী, বিপণন, কোম্পানী সচিব, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মতো গুরত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে নন-লাইফ বীমা পেশায় ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পেশাগত দক্ষতা, দায়িত্বের প্রতি আন্তরিকতা, দূরদর্শি চিন্তা-চেতনা, সুপরিকল্পিত নীতিনির্ধারনী সিদ্ধান্তসহ জ্ঞান গরিমা এবং কঠোর অধ্যাবশায়ের মাধ্যমে নিজেকে যখন মেধা ও যোগ্যতার অনন্য উচ্চতায় আরোহন করতে সক্ষমতা অর্জন করেন, ঠিক তখনই অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদের সু-নজর এবং সন্তুষ্টি অর্জন করে তৎকালীন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র অনুমোদন সাপেক্ষে ১লা আগস্ট, ২০১৩-এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসেবে অদ্যাবধি নিরলসভাবে গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।
এছাড়াও জনাব আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী সমাজসেবার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তিনি চট্টগ্রাম ক্লাব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাব, ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের আজীবন সদস্য এবং চিটাগাং ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, চিটাগাং লায়ন্স ফাউন্ডেশন, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সংসদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ব্যাচ-৮৩-এর আজীবন সদস্য। তিনি লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫-বি-৪, বাংলাদেশ-এর একজন চার্টার্ড সদস্যও। জনাব সাইফুদ্দীন চৌধুরী শুধুমাত্র চাকুরি এবং সংগঠনের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। উদার মন-মানসিকতা নিয়ে সমাজকে আলোকিত করার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে। তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পৃষ্ঠপোষক এবং দাতা সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন নিয়মিত।
জ্যোতি ছড়াতে কার না ভালো লাগে। তেমনি আলোর মশাল হাতে নিয়ে এক যোগ্য, ন্যায় পরায়ন, সদালাপী বীমা ব্যক্তিত্ব জনাব আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী, বীমা পেশায় যোগদানের মুহূর্ত থেকে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। পেশাদারিত্বের সহিত তিনি নিজ দায়িত্ব পালন করে বিজিআইসিকে আজ স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেন। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সমাপ্ত বছর পর্যন্ত মোট প্রিমিয়াম আয় করতে সক্ষম হয়েছে ৮৩ কোটি ৯৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ টাকা। মোট সম্পদ হয়েছে ১৮১ কোটি ৭২ লাখ ২৮ হাজার ৪৭ টাকা। মোট সঞ্চিতি ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ ৫৮ হাজার ২শত ৪৬ টাকা। মোট দাবী পরিশোধ হয়েছে ৮ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ শত ৪৯ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মুলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মুলধন ৫৪ কোটি ২ লাখ ৭২ হাজার ৫শত ৫০ টাকা। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ২০২৩ সমাপ্ত বছরে অপ্রত্যাশিত ক্ষতির সঞ্চিতি রয়েছে ২৩ কোটি ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৭শত ১ টাকা। সাধারণ সঞ্চিতি রয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। এফডিআর ৯৯ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ৩ শত ৭৬ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থেকে ব্যয় সীমা নিয়ন্ত্রণে রেখে চলছেন যার জন্য ২০২৩ সমাপ্ত বছরে ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ২শত ৯৩ টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩শত ৭ টাকা।
জনাব সাইফুদ্দীন চৌধুরী বীমা পেশা ঝুঁকিপুর্ণ জেনেও মার্কেটিং-এর মত চ্যালেঞ্জিং পেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখেননি। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার দিকে যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি নিয়েই তার পথ চলা, আর এই পথ চলতে গিয়ে সম্বল হিসেবে সততা, পরিশ্রম এবং নৈতিকতাকে কেন্দ্র করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও’র গুরু দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কোম্পানীর উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছুটে গেছেন মাঠ পর্যায়ে নন-লাইফ বীমা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করার জন্য এবং প্রিমিয়াম সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনি বিজিআইসিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবদান রেখে চলছেন। দেশে বীমা কোম্পানীর সিইওদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন মেধাবী সেরা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বীমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করেন। বীমার গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় লেখা-লেখি করেন। যার ফলে বীমা শিল্প উপকৃত হচ্ছে।
প্রতিটি জীবনই স্বাতন্ত্র অবয়বে দীপ্তমান। তবে এরই মাঝে কিছু জীবন উদ্ভাসিত হয় হাজারো নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্য নিয়ে, আধাঁর সময়ে অসহায় মানুষের মাঝে ফোটায় জোস্নার ফুল। জনাব আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী দীর্ঘদিন নন-লাইফ বীমা শিল্পে কাজের সুবাদে নন-লাইফ বীমা শিল্প বিকাশে কিছু বাস্তব ভাবনা নিয়ে বলেন- ৫আগষ্ট, ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন করে একটি স্বাধীন বৈষম্যবিরোধী দেশ পেয়েছি, নতুন করে আবারো স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি, আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং যারা আহত হয়েছেন পরম করুনাময় মহান আল্লাহর কাছে তাদের সুস্থতা কামনা করছি। ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফসল নতুন স্বাধীনতায় আমরা নতুন অর্থনীতির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। দেশের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে পরিবর্তন পরিবর্ধন হতে যাচ্ছে। দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে সর্বত্র নতুন করে সংস্কার প্রয়োজন।
বীমা খাত একটি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই এই বীমা শিল্পকে অবহেলার চোখে দেখার কোন সুযোগ নেই। যার জন্য বীমা খাতকে ব্যাপক সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। যেহেতু, বীমা খাত থেকে বিপুল রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। তাই এই দিকটায় সরকারের সু-নজর রাখা উচিৎ। আমাদের দেশের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন স্থাপনা বীমার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। ইতিপূর্বে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বন্যা হয়েছে, পানিতে ডুবে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য যে এই সম্পত্তির কোন বীমা ছিলনা। আজ এই প্রাকৃতিক কিংবা মনুষ্য সৃষ্ঠ দূর্যোগের দায় বীমা কোম্পানীগুলো নিতে পারছে না। যদিও আমাদের বীমা কোম্পানীগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষগুলোর পাশে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আজকে যদি এই বন্যার্ত এলাকার স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন স্থাপনার বীমা করা থাকতো, তাহলে হয়তো বীমা কোম্পানীগুলো এর দায় নিতে পারতো। তাই সরকারকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থাপনাসমূহ বীমার আওতায় নিয়ে আসা বিষয়ে এখনই ভাবতে হবে ।
বীমার বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জনাব আহমেদ সাইফুদ্দীন আরও বলেন নন-লাইফ বীমা শিল্পের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে কিছু নিয়ম-নীতি সংশোধন করা একান্ত প্রয়োজন। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বীমা খাত জাতীয় অর্থনীতিতে তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হচ্ছে না। যা ভবিষ্যৎ বীমা শিল্পের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নন-লাইফ বীমা শিল্পের বিকাশের জন্য যে সমস্যা নির্ধারিত এজেন্ট কমিশনের অতিরিক্ত কমিশন প্রদান। বিশ্ব বীমা বাজারের সাথে বাংলাদেশের বীমার প্রিমিয়াম হার অনেক বেশী। এই খাতে এজেন্ট প্রথা বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। তাছাড়া নন-লাইফ বীমা খাতে পণ্যের স্বল্পতা রয়েছে। নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্র বা পরিধি বিস্তারের জন্য বীমাকৃত খাত সমূহ চিহ্নিত করে তাহা বাধ্যতামূলক করা একান্ত প্রয়োজন। আইনের কিছু ধারা সংশোধন পূর্বক নন-লাইফ বীমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য বাস্তবমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
উপরোক্ত সমস্যা সমাধান এবং নন-লাইফ বীমা শিল্পের বিকাশের জন্য তার কিছু মতামত উপস্থাপন করে বলেন, বে-সরকারি খাতের নন-লাইফ বীমা শিল্প বিকাশের জন্য সরকারি সম্পত্তির বীমা শুধুমাত্র সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের উপর অর্পিত করা একান্ত প্রয়োজন। এতে বীমা ক্ষেত্রে সুষ্ঠ শৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। সরকারী সম্পত্তির বীমার প্রিমিয়াম অর্থাৎ ৫০% সকল বে-সরকারী নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর মধ্যে সমহারে বিতরণ করার যে প্রচলন রয়েছে, তা বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। নন-লাইফ বীমা শিল্পের সুষ্ঠ এবং স্বচ্ছ বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশে নন-ট্যারিফ মার্কেট বিবেচনা করা সময়োপযোগী হবে। কারণ বাংলাদেশে ট্যারিফ মার্কেট-এর হার বিশ্ব বাজার থেকে অনেক বেশী। যার ফলে অতিরিক্ত কমিশন প্রদানের প্রবনতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া নন-ট্যারিফ মার্কেট-এর ফলে আমরা বিশ্বের বীমা সেবার সহিত প্রতিযোগিতামূলক বীমা সেবা প্রদানে সক্ষম হবো। পুন:বীমা-এর ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত আইন অর্থাৎ ৫০% বাধ্যতামূলক সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সাথে পুন:বীমা করতে হবে, বাকি ৫০% ওভারসিস মার্কেট এ করা যায়, তা হ্রাস করে ৩০% সাধারণ বীমা কর্পোরেশন-এর সাথে এবং ৭০% ওভারসিস মার্কেট এ করার বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে ৭০% এর ক্ষেত্রে বিকল্প থাকতে পারে যে কোন কোম্পানী তাহা সাধারণ বীমা কর্পোরেশন অথবা বিদেশী পুন:বীমাকারীদের সাথে পুন:বীমা করতে পারবে। যে কোনো নন-লাইফ বীমার নতুন পণ্য যে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী উদ্ভাবন করবে, তাকে প্রথমে বাজারজাত করার সুযোগ দিতে হবে এবং যদি সফলতা আসে তবে বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে উক্ত কোম্পানী নতুন উদ্ভাবিত পণ্য-এর অনুমোদন নিবে। এতে যেমন নিয়ম-নীতির বাধ্য বাধকতা হ্রাস পাবে, তেমনি বিভিন্ন কোম্পানী নতুন পণ্য উদ্ভাবনে উৎসাহ পাবে। মূলত বীমা দাবী যে কোনো নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর স্বক্ষমতা-এর পরিমাপের জন্য প্রধান মানদন্ড। তাই বর্তমানে প্রচলিত বীমা দাবী নিস্পত্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের তথ্যাদি ও নথি-পত্র প্রদানের যে প্রক্রিয়া রয়েছে, তা সহজীকরণ একান্ত প্রয়োজন এবং তা সম্ভব। নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর বীমাপত্র প্রসারে প্রিমিয়াম পরিশোধে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রিমিয়াম পরিশোধে পরবর্তী দিনে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকরণের যে আইন আছে তা কিছুটা শিথিল করে নূন্যতম ০১ (এক) মাস করা প্রয়োজন এবং ০১ (এক) মাসের পর যদি প্রিমিয়াম পরিশোধ না হয়, তবে প্রতিদিনের জন্য বিবেচনাযোগ্য জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে। উপরোক্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা ও বিবেচনা পূর্বক আমরা যদি সুষ্ঠ ও বাস্তব সম্মত বীমা কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নিয়ম-নীতি সংশোধনপূর্বক নন-লাইফ বীমা শিল্প পরিচালনায় সক্ষমতা আনতে পারি, তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর উপর গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে নন-লাইফ বীমা শিল্পের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটবে। যাহা জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকার প্রতিফলন ঘটবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সকলের সম্মিলিত বাস্তব চিন্তাধারা নন-লাইফ বীমা শিল্পের বিকাশ ঘটাতে সম্ভব। পরিশেষে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি যে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. আসলাম আলম মহোদয়ের দক্ষ নেতৃত্বে বীমাশিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে এবং নীতি নির্ধারনীর ক্ষেত্রে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। আমি তাঁর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল, সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।
এস এম নুরুজ্জামান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এস এম নুরুজ্... বিস্তারিত
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ল... বিস্তারিত
সাঈদ আহমেদ একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেক... বিস্তারিত
সামাজিক নিরাপত্তা, সেবার মানুষিকতা নিয়ে দেশ বিদেশের প্রথিতযশা ব্যাক্তিত্বের সমন্বয়ে উভয় পুঁজিব... বিস্তারিত
বিশিষ্ট বীমা ব্যাক্তিত্ব মো. মোশারফ হোসেন নিজ কোম্পানির পাশাপাশি বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্... বিস্তারিত
হাসান তারেক, নন-লাইফ বীমা সেক্টরের অভিজ্ঞতালব্দ, হাসোজ্জ্যল ও সদালাপী একজন উদীয়মান বীমা ব্যক্তিত... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ ডেস্ক: প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত... বিস্তারিত
Prime Islami Life Insurance Limited 24th Annual General Meeting held on November 06, 2024 ... বিস্তারিত
Notification for general information of the shareholders of Bangladesh Lamps Limited ... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক// বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য (নন-লাইফ)পদে নিয়োগ পেয়েছ... বিস্তারিত