রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৭ এএম
সাঈদ আহমেদ একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেকনোলজি লিমিটেড ও পিউরিটি ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ভ্যানটেজ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিটি হোমস্ লিমিটেড ও আল-তাইয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নাহার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাঃ) লিমিটেড এবং মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির পরিচালক। তিনি দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড (পদ্মা ব্যাংক লিঃ) এর পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং একজন উদ্যোক্তা শেয়ার হোল্ডার। এছাড়া তিনি আহমেদ শিপিং লাইন্স, আহমেদ ইনল্যান্ড শিপিং এজেন্সী, এ.কে. ইন্টারন্যাশনাল এবং আহমেদ এয়ারওয়েজ সার্ভিসেস এর স্বত্বাধিকারী। তিনি বাংলাদেশ
কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে কার্যকরী পরিষদের সদস্য। তিনি লায়ন্স ক্লাব অফ ঢাকা সেন্ট্রাল ইস্ট এর প্রেসিডেন্ট এবং লায়ন্স ক্লাব অফ ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি-২, বাংলাদেশ এর রিজিওন চেয়ারপারসন। এছাড়া তিনি ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, গুলশান সোসাইটি, উত্তরা ক্লাব লিমিটেড, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড, বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব লিমিটেড এবং অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেডের স্থায়ী সদস্য। সাঈদ আহমেদ শরীয়তপুর জেলা সমিতির পৃষ্ঠপোষকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। কথা হলো বীমা শিল্পের বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স নিয়ে, এখানে তা তুলে ধরা হলো...
ব্যাংক বীমা শিল্প : সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্বেও ইতিবাচক ধারায় ফিরছেনা কেন বীমা খাত?
সাঈদ আহমেদ : আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। বীমা খাতকে ইতিবাচক ধারায় ফেরানোর জন্য ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় বীমা দিবসকে ’খ’ শ্রেণী থেকে ’ক’ শ্রেণীতে উন্নিতকরণের মাধ্যমে বীমা খাতকে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। তবে দেশে বীমাসেবা দীর্ঘদিন চালু থাকলেও এ খাতে মানুষের আস্থাহীনতা এখনও রয়েছে। এই আস্থাহীনতার মূল কারন হচ্ছে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা। প্রায় দীর্ঘ ৪০ বছর বীমাখাতে বিভিন্ন অনিয়মের কারনেই এই আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০১০ সনে নতুন বীমা আইন, ২০১৪ সনে বীমানীতি প্রনয়ন করে এবং বীমাখাতকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনা হয়। সরকার বীমাখাতের উন্নয়নের জন্য এবং এই খাতে জনগনের আস্থা বৃদ্ধি এবং কোম্পানী সমূহের জবাবদিহিতার জন্য কন্ট্রোলার অফ ইন্স্যুরেন্সকে ভেঙ্গে দিয়ে আইডিআরএ অর্থাৎ বীমা উন্নœয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই বীমাখাতের উপর জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং এই খাতকে একটি ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে। আমি বিশ^াস করি বীমা উন্নœয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন এবং বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যদি সমন্বয় করে কাজ করতে পারে তবে ইনশাআল্লাহ বীমাখাতকে সু-দৃঢ়ভাবে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতি এবং কর্পোরেট সু-শাসন সম্পর্কে বলুন?
সাঈদ আহমেদ : আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমাদের কোম্পানীর সু-যোগ্য পরিচালনা পর্ষদ, চৌকষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, উন্নয়ন কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং সর্বোপরি আমাদের সম্মানীত গ্রাহকদের আমাদের উপর অগাধ আস্থা এবং বিশ^াসের কারনে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও বিপর্যস্ত বৈশি^ক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও আমরা ২০২২ সনে সন্তোষজনক ব্যবসা অর্জন করতে পেরেছি।
কর্পোরেট সু-শাসন বা কর্পোরেট গভর্নেন্স এমন একটি ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে কোম্পানীর সকল কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তার দায়বদ্ধতা বিবেচনা করে নিয়ন্ত্রিত হয়। একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক স্টেকহোল্ডারের সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখে। এই পরিচালনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা ও সহজবোধ্য নীতি ও নিয়মকানুনের মাধ্যমে কর্পোরেট গভর্নেন্স বজায় রাখতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সত্যিকার অর্থে কর্পোরেট সু-শানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকমান বজায় রেখে স্বচ্ছতার সাথে সকল কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ব্যাংক বীমা শিল্প : শেয়ার হোল্ডার, পলিসি হোল্ডারের আস্থা এবং প্রত্যাশার জায়গায় গ্লোবাল ইন্সুরেন্স কি ধরনের অবদান রাখছে বলে আপনি মনে করেন?
সাঈদ আহমেদ : আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে নন-লাইফ বীমা কোম্পানী সমুহের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। বীমা যেহেতু একজন গ্রাহককে তার এবং তার সম্পদের সুরক্ষার সেবা দেয় সেখানে বিনিয়োগকারীরাও মনে করে এই শেয়ারের মাধ্যেমে তার আমানত সুরক্ষিত থাকবে। এই আস্থার জায়গাটিই প্রতিটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মূল মন্ত্র। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ২০০৫ সনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ২০২২ সনে চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ তালিকাভুক্ত হয়। ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতার কারনে প্রথম বছর থেকেই আমরা সম্মানিত শেয়ার হোল্ডারদের নিয়মিতভাবে ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছি। আমাদের উপর শেয়ার হোল্ডার এবং পলিসি হোল্ডারদের আস্থার কারনেই এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছি।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বৈশি^ক মহামারী, করোনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে নন লাইফ বীমা ব্যবসায় অবস্থা সম্পর্কে বলুন?
সাঈদ আহমেদ : করোনা বৈশি^ক মহামারীর পরেও এদেশের বীমাখাতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। কিন্তু ২০২২ এর ফেব্রুয়ারী থেকে সংগঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনেকটা প্রভাব ফেলেছে। বিশ^ অর্থনীতি এই যুদ্ধের কারণে বর্তমানে টালমাটাল। দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতি বিশেষ করে জ¦ালানীখাতে অস্থিরতা সমগ্র অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে অনেক আমদানিকারক ব্যাংকে এলসি খুলতে পারছেন না। যেহেতু আমাদের মেরিন ব্যবসা সরাসরি আমদানির সাথে সম্পর্কিত সেহেতু এলসি কম হওয়াতে আমাদের মেরিন ব্যবসাও অনেক কমেছে। বর্তমানে অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজির কারনে নতুন নতুন ফ্যাক্টরি গড়ে তুলতে পারছেন না এতে করেও আমাদের বীমা ব্যবসা বিঘিœত হচ্ছে। তবে আমি আশাবাদী যে অচিরেই এ সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : নন লাইফ বীমা ব্যবসায় অবৈধ কমিশন বাণিজ্যে, অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়েছে কি?
সাঈদ আহমেদ : যদি এক কথায় বলি তাহলে হয়নি। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে আমরাও এ ব্যাপারে সচেষ্ট। অতিরিক্ত কমিশন একটি মধ্যসত্ত্ব ভোগিদের পকেটে যাচ্ছে যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। এতে করে সমগ্র বীমাখাত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই অবৈধ কমিশন বাণিজ্য যেকোন মুল্যে বন্ধ করতে হবে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : মটর থার্ডপার্টি বীমা বাতিল হওয়াতে কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে নন-লাইফ বীমা সেক্টরে?।
সাঈদ আহমেদ : এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বিশে^র এমন কোন দেশ নাই যেখানে মটর বীমা বাধ্যতামূলক নয়। মটর বীমার একটি অংশ হচ্ছে এ্যাক্ট লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স বা বিধিবদ্ধ দায় বীমা যা থার্ডপার্টি ইন্স্যুরেন্স বা তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বীমা নামে পরিচিত। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্কুলার নং- নন-লাইফ ৮২/২০২০, তারিখ: ২১/১২/২০২০ এর মাধ্যমে থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা সম্পর্কিত বীমা প্রোডাক্ট বা পরিকল্পটি বাতিল করা হয়েছে যা আমি মনে করি একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। শুধুমাত্র কম্প্রিহেনসিভ বা সর্ব ঝুঁকি মটর বীমা করা যাবে তাও বাধ্যতামূলক নয়। থার্ড পার্টি মটর ইন্স্যুরেন্স বাতিল করার ফলে বীমাখাতে প্রিমিয়াম আয় প্রায় ১৩% কমে গেছে। এমনকি অনেক কোম্পানি তাদের অনেক শাখা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। তৃতীয় পক্ষ ঝুঁকি বীমা বাতিলে রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। কারন এই খাত থেকে ভ্যাট, ট্যাক্স ও বীমা ষ্ট্যাম্প বাবদ সরকারের একটি ভাল রাজস্ব আদায় হতো।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা দাবী পরিশোধে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের অবস্থান সম্পর্কে বলুন?
সাঈদ আহমেদ : আলহামদুলিল্লাহ গ্লোবাল ইন্সুরেন্স লিমিটেড তার গ্রাহকের যে কোন বীমাদাবীর বিষয়ে খুবই সচেতন। বীমাদাবী দ্রুত পরিশোধ করায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কোম্পানীর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ যাবৎ কালের সকল যৌক্তিক বীমাদাবী অত্যন্ত দক্ষতা এবং দ্রুততার সাথে নিস্পত্তি করা হয়েছে। আমরা যে কোন যৌক্তিক দাবী পরিশোধে সক্ষম। দ্রুত বীমাদাবী নিস্পত্তির জন্য কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্ট কমিটি সর্বদা সচেষ্ট থাকেন।
ব্যাংক বীমা শিল্প : জাতীয় অর্থনীতিতে বীমা খাত কি ধরনের ভূমিকা রাখছে বলে আপনি মনে করেন?
সাঈদ আহমেদ : দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে বীমা খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। তবে দেশের অর্থনীতিতে বীমাখাতের অবদান মাত্র এক শতাংশের নীচে। উন্নত বিশ্বে এ হার ১৮ থেকে ২০ শতাংশ। বীমা খাতের উন্নয়নে এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন ও বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বাস্তবায়ন হচ্ছে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি। ডেনসিটি বাড়াতে পারলে বীমার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও গতিশীল হবে। পাশাপাশি সু-নিশ্চিত হবে মানুষের জীবনের ও সম্পদের নিরাপত্তা। বিপদের সময় বীমাশিল্প জীবন ও সম্পদের ক্ষেত্রে পাশে দাঁড়ায়। বীমাখাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসলে এ খাত দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রন নিয়ে আপনার মূল্যায়ন?
সাঈদ আহমেদ : বর্তমানে বীমা নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইডিআরএ’র কার্যকর ভূমিকায় বীমা কোম্পানী সমূহের জবাবদিহীতা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। বীমাখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য আইডিআরএ অনেক বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইউনিফাইড ম্যাসেজিং প্লাটফর্ম (ইউএমপি)। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বীমাগ্রাহক তাৎক্ষনিকভাবে পলিসির তথ্য ও প্রিমিয়াম জমার বিবরণী জানতে পারছেন। এতে করে বীমা কোম্পানী সমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : দাবী পরিশোধে নন-লাইফ বীমা খাতের সক্ষমতা সম্পর্কে বলুন?
সাঈদ আহমেদ : দাবী পরিশোধে প্রায় সকল নন-লাইফ বীমা কোম্পানী সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রায় প্রতিটি নন-লাইফ কোম্পানীর এফডিআর যথেষ্ট পরিমানে হয়েছে এবং সম্পদও বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল নন-লাইফ কোম্পানী নিয়ম মেনে দেশে এবং বিদেশে পুন:বীমা করে থাকে। এতে করে সবাই এখন বীমা দাবী পরিশোধে সক্ষম বলে আমি মনে করি।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে আরো কি ধরনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
সাঈদ আহমেদ : আমি মনে করি দুইটি বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। এক, সরকারী যে সব আইন ও নীতিমালা রয়েছে তা সঠিকভাবে প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা। দুই, কিছু জায়গায় বীমাকে বাধ্যতামূলক করা। শুধু বাধ্যতামূলক করলে হবে না সেটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তারও তদারকি করতে হবে। বীমাখাতে চাহিদা ভিত্তিক নতুন নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করা প্রয়োজন। এই জন্য এই খাতের জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যেভাবে বেগবান হচ্ছে। সেই তুলনায় বীমাখাত সেভাবে অগ্রসর হতে পারেনি। অর্থনীতির একটি অন্যতম খাত পেছনে রেখে সামনে অগ্রসর হওয়া কঠিন। তাই কিছু বিষয় এখনই নজর দেয়া প্রয়োজন। বীমার প্রচার আরও বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষের মধ্যে এই সম্পর্কে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। আরেকটি বিষয় দেশ ডিজিটাল হয়েছে এখন প্রয়োজন প্রতিটি বীমা কোম্পানীকে ডিজিটালাইজে-শনের আওতায় নিয়ে আসা। ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অতিদ্রুত গ্রাহকসেবাসহ কর্মীদের বীমা বিষয়ে আরও সচেতন করা যায়। আমি আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন তাদেরকে বলব আপনাদের পত্র-পত্রিকায় বীমা সম্পর্কে মৌলিক ও পজিটিভ দিকগুলো তুলে ধরুন। মানুষকে বীমা সম্পর্কে সচেতন করার ক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সর্বপরি বীমার মাধ্যমে মানুষের জীবন এবং সম্পদের সুরক্ষা দেয়া যায় এ বিষয়টি দেশের জনগনকে বুঝাতে হবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরীর যোগ্য ব্যবস্থাপনায় ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে... বিস্তারিত
এস এম নুরুজ্জামান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এস এম নুরুজ্... বিস্তারিত
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ল... বিস্তারিত
সামাজিক নিরাপত্তা, সেবার মানুষিকতা নিয়ে দেশ বিদেশের প্রথিতযশা ব্যাক্তিত্বের সমন্বয়ে উভয় পুঁজিব... বিস্তারিত
বিশিষ্ট বীমা ব্যাক্তিত্ব মো. মোশারফ হোসেন নিজ কোম্পানির পাশাপাশি বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্... বিস্তারিত
হাসান তারেক, নন-লাইফ বীমা সেক্টরের অভিজ্ঞতালব্দ, হাসোজ্জ্যল ও সদালাপী একজন উদীয়মান বীমা ব্যক্তিত... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ ডেস্ক: পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চাঁদপুল অঞ্চলের বীমা গ্রাহকের বী... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ ডেস্ক: পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কুমিল্লা অঞ্চলের বীমা গ্রাহকের ৩ ... বিস্তারিত
Chartered Life Insurance 3rd Quarter-2024 Repor ... বিস্তারিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : গতকাল (২৯শে অক্টোবর) ২০২৪ইং তারিখে নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এর ১৭৬তম ব... বিস্তারিত