বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ১২:১৪ পিএম
মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ
বীমা শিল্প এখন বিকাশমান। বীমা নিয়ে অতীতে অনেক নেতিবাচক কথা হলেও সেটা অনেকটা কমে এসেছে। এখন দরকার এই শিল্প বিকাশে দক্ষ হাতে নার্সিং করা, যার উদ্যোগ ইতিমধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছেন। বিআইএ কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগের সাথে একাত্ন প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় সভা সমাবেশ করে বীমা কোম্পানীর মাননীয় চেয়ারম্যান এবং সিইও-দের উদ্বুদ্ধ করণে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাই আমাদের প্রত্যাশা এই বছরের মধ্যেই নন-লাইফ বীমায় আশার আলো দেখা যাবে। পেশার স্বীকৃতি মিলবে। মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ১০ই জানুয়ারী, ২০২১ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মহোদয় ও সদস্যগণ নন-লাইফ বীমা কোম্পানীসমূহের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং-এ অংশ গ্রহণ করেছেন। আলোচনান্তে বীমা শিল্পে বিরাজিত অনৈতিক কমিশন এবং বেতন ভাতার সমন্বয়হীনতা যেন স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে সেদিকে দৃষ্টি রেখে নতুন কৌশল বা উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী বলে কর্মকর্তারা মত প্রকাশ করেছেন। কারণ বীমা কর্মীরা নিজেদের সুন্দর জীবন যাপনের জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। তারা এই কাজের মধ্যেই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থে একটি সম্মানজনক নীতিমালা আশা করেন।
এতদিন আমাদের অনেকের কাছেই অজানা ছিল যে, বাংলাদেশের প্রাণ পুরুষ আমাদের জাতির জনক বীমা জগতেরই একজন সদস্য ছিলেন, যা ১লা মার্চ ২০২০ বীমা দিবসে প্রকান্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবং এই শিল্পের উন্নয়নের জন্য যা করণীয় তা তিনি করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন এবং শিল্পের শৃঙ্খলা বজায় রেখে সরকারী রাজস্ব খাতে অবদান রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বীমা শিল্পে যারা জড়িত রয়েছেন তাঁর প্রতিটি কথা বাস্তবায়নে নিরলস চেষ্টা করে যাবেন।
আমাদের অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের মুখে শুনেছি যে, তিনি ছাত্র অবস্থায় বীমার উপর একটি বই লিখেছিলেন। ছাত্র অবস্থায় বইটি প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে তার অত্যন্ত প্রিয় একজন শিক্ষকের নামে তা প্রকাশ করেছিলেন এবং শিক্ষক যৌথ লেখক হিসেবে তার নাম যুক্ত করে তাঁকে সম্মানীত করেছিলেন। একেই বলে গুরু দক্ষিণা।
আমি যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টারস্ ডিগ্রীতে পড়ি তখন আমার ইন্স্যুরেন্স টার্ম পেপার ছিল। রি-ইন্স্যুরেন্স শেখার জন্য ১৯৮১ সনে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পুন:বীমা বিভাগে প্রায় এক মাস ইন্টার্নশীপ করে হাতে কলমে শিখে রিপোর্ট জমা দিয়ে ঐ বিষয়ে পাশ করতে হয়েছিল। বীমা সম্পর্কে তাত্ত্বীক জ্ঞান বীমা শিল্পে আমাকে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টসি (সি.এ) প্রফেশনের এক বন্ধুর হাত ধরে ১৯৮৬ সালে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করি। আমি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মিহির দা, আমার শ্রদ্ধেয় স্যার মীর হোসেন সাহেব-এর কাছে চির কৃতজ্ঞ। যিনি আমাকে হাতে কলমে শিখিয়েছেন ইন্স্যুরেন্স কি, কিভাবে ডকুম্যান্ট ইস্যু করতে হয়, বীমা গ্রহীতাদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হয়, পত্রালাপ করতে হয়। অবলিখন, পুন:বীমা, দাবী সংক্রান্ত কাজ তাঁর কাছ থেকেই শিখেছি। এক কথায় তিনি আমার ইন্স্যুরেন্স গুরু। এমন গুরু শিষ্য তৈরী না হলে বীমা শিল্পের অগ্রগতি আশা করা বাতুলতা মাত্র।
দেখতে দেখতে বীমা শিল্পে ৩৫টি বছর কিভাবে কেটে গেলো টেরও পেলাম না। ২৮ বছর বিভিন্ন কোম্পানীতে বীমার বিভিন্ন শাখায় কাজ করে অবশেষে ২০১৩ সনের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসাবে কর্মরত আছি। বীমা ব্যবসা এখন আর পেশা নয় এটা অর্থনৈতিক উন্নতি ও গ্রাহক সেবার নেশা। বীমা পেশায় যারা জড়িত আছেন তাদের সকলকে এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে এবং তা কাজে প্রমান করতে হবে।
বীমা পেশাজীবিরাই এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরামর্শক হিসাবে কাজ করে বীমাকারী এবং বীমা গ্রহীতাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন সৃষ্টি করে ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প তথা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে বেগবান করছেন। বিদেশের তুলনায় আমাদের বীমা শিল্প অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তাই বীমা পেশাজীবিদের মান-সম্মান ও আর্থিক বুনিয়াদকে শক্ত অবস্থানে দাঁড়া করাতে বীমার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সবিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বীমা ব্যবসা একদিনে হয় না, দীর্ঘ সাধনার ফল। যারা দীর্ঘদিন ধৈর্য্য সহকারে টিকে থাকতে পারে তারাই বীমায় সফলকাম হতে পারেন। কি লাইফ, কি নন-লাইফ। ঝরে পরা লোকের সংখ্যাই অধিক, গুটি কয়েক লোক কেবল সাফল্যের হাসি হাসতে পারে। এই কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বা শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বীমা শিল্পে কাজ করতে আগ্রহী হয় না। কেহই তার জীবন থেকে কয়েকটি বছর ট্রাইয়েল এন্ড এরর-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। সবাই চায় নিশ্চিত চাকুরী, দুটো পয়সা কম হউক তা-ই শান্তি। এই মুহুর্তে শিক্ষিত প্রজন্মকে বীমা পেশার প্রতি আগ্রহী করার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার সুযোগ এসেছে।
বর্তমানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে মার্কেট কারেকশন চলছে। নিয়ম নৈতিকতার মেনে বীমা শিল্পে কর্মরত কয়েক লাখ কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বীমা পরিবারের বেশ কয়েকজন উচ্চ শিক্ষিত জনবল বীমা শিল্পে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এদের বিকাশ কিন্তু একদিনে হয়নি, এদের পেছনে তাদের বাবা-মার অবদান অনেক । তাঁরাই তাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং পথের নির্দেশনা দিয়েছেন। নিশ্চয়ই তারা ভাগ্যবান যে উত্তরসূরী সৃষ্টি করতে পেরেছেন। সকল ক্ষেত্রেই উত্তরসূরী তৈরীর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
ইদানিং কিছু মেধা সম্পন্ন ছেলে-মেয়ে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে তাদের পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চাঁন কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাঁধা হলো তারা পরিচালকদের সন্তান নন, তারা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা অধ:স্তন কারো সন্তান। আগেই বলেছি মার্কেট কারেকশন চলছে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা অধ:স্তনের প্রচুর বীমা ব্যবসা রয়েছে কিন্তু তিনি তা থেকে বেনিফিট নিতে পারছেন না বা কোম্পানী তার ব্যবসার জন্য আলাদাভাবে মূল্যায়িত করছে না, তাহলে তার ব্যবসার বেনিফিসিয়ারী কে হবেন? তাহলে তৃতীয় কোন পক্ষকে দাঁড়া করলেতো সেই আগের অবস্থা অর্থাৎ ডেমী সৃষ্টি করতে হয়, তার চেয়ে কারো ব্যবসার জন্য তাঁদের ছেলে-মেয়েদেরকে যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে কিভাবে সহায়তা করা যায়, তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। মেধা ও যোগ্যতার স্বীকৃতি দিয়ে কর্মীর হাতকে শক্তিশালী করে শিল্পে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টির প্রয়াস নিতে হবে।
শিল্পের উন্নয়নে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস থাকা অত্যন্ত জরুরী, নতুবা বীমা শিল্পে নতুন শিক্ষিত প্রজন্ম আগ্রহী হবে না। তাদের বীমা শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলা আমরা যারা এই শিল্পে কর্মরত আছি তাদের নৈতিক দায়িত্ব। বীমা পেশাজীবির সন্তানরা যাতে বেশী বেশী বাবা-মায়ের পেশায় আসতে পারে এবং শিল্পকে আরো গতিশীল করতে পারে সে চেষ্টা সকল পক্ষকে করতে হবে।
পৃথিবীব্যাপী বীমা ব্যবসায় যারা উন্নয়ন কর্মকর্তা, বীমা কর্মী বা বীমা এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন তাদের আয় আনলিমিটেড। তাদের নিয়োগই দেয়া হয় এইভাবে, ব্যবসা আনতে পারলে টাকা পাবে, না আনতে পারলে পাবে না। তবে আমাদের দেশের মার্কেটকে অস্থির করার ক্ষেত্রে কমিশন হাতিয়ার হিসাবে কাজ করবে কারণ এই অতিরিক্ত টাকা মার্কেটে কমিশনের হার বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সেদিকটি বিবেচনা করে যুঁৎসই ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা ভাবনা করার এখনই উত্তম সময়।
অনেকে বলে থাকেন উন্নয়ন কর্মকর্তাদের নির্ধারিত বেতন দেয়া উচিত। সবারই সংসার আছে, নির্দিষ্ট খরচও আছে। তা অবশ্যি ঠিক। যদি এমন হয় উন্নয়ন কর্মকর্তাদের টার্গেট দিয়ে বাজারে ছেড়ে দেয়া হলো, মাস শেষে টার্গেট পূরণ না হলেও তাদের পূর্ণ বেতন দেয়া হলো। তবে কি কেউ টার্গেট পূরণে বা ব্যবসা আনতে সচেষ্ট হবেন? এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। তবে তা হাতে গোনা কয়েকজন হয়তো টার্গেট পূরণ করবেন আর বাকীরা তাঁর সুবিধা ভোগ করবেন। এইভাবে কতদিন চলবে? কথায় আছে-বসে বসে খেলে রাজার ধনও এক সময় শেষ হয়ে যায়। এক সময় কোম্পানীও দেউলিয়া হয়ে যাবে, এভাবে ফ্রি বেতন দিতে থাকলে। তাই সকল দিক বিবেচনা করেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উন্নয়ন কর্মকর্তাদের টার্গেটের বিপরীতে আনুপাতিক একটা পারসেনটেজ বা এজেন্ট কমিশনকে বেসিস ধরে যে যত টার্গেট নিতে চায় সে অনুপাতে বেতন নির্ধারণ করে দিতে হবে। টার্গেট পূরণ করলে পূর্ণ বেতন এবং টার্গেট পূরণ না হলে আনুপাতিক হারে বেতন পাবে। যা এখন আমাদের দেশের সকল নন-লাইফ বীমা কোম্পানীতে চালু আছে। এতে ব্যক্তি নিজে, কোম্পানী সর্বোপরি সরকারী রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। খয়রাতি সাহায্যে বেশী দিন চলা য়ায় না। এই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সকলকে অবশ্যি এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে দেশের আর্থিক বুনিয়াদ বিনির্মাণে বীমা খাত পিছিয়ে পড়বে।
একজন ডেক্স কর্মী সারাদিন তাঁর কাজ করেও তাঁর কানেকশন বা প্রফেশনালিজমের কারণে তাঁর মেধা, শিক্ষা, যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মাধ্যমে কোম্পানীর জন্য ব্যবসা সংগ্রহ করলে, কর্তপক্ষের কাছে তাঁর কিছু চাওয়া পাওয়া থাকতেই পারে? গিভ এন্ড টেক এর দুনিয়ায় তার প্রাপ্যটা তাকে না দিলে সে ব্যবসা আনবে কেন? সে যদি ব্যবসা না আনে কোম্পানী ব্যবসা হারাবে। এটা বন্ধ করতে হলে উন্নয়ন কর্মকর্তার মতো তাদের ব্যবসা আহরণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কোন পন্থা বের করার সময় এসেছে।
আবার এজন্টের কথায় আসি নন-লাইফ বীমায় এজেন্টের ভূমিকা কি তা স্পষ্ট নয়। কারা এজেন্ট হবার যোগ্য তাও স্পষ্ট নয়। একজন উন্নয়ন বা ডেক্স কর্মকর্তা তাদের কাজের পাশাপাশি এজেন্ট হতে পারবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। বীমা আইনে লাইফ বীমার এজেন্ট সমন্ধে বিস্তারিত বলা আছে এবং নন-লাইফের ক্ষেত্রে কি ধরনের প্রক্রিয়া হবে তা বলা নাই। এস.এস.সি পাশ এজেন্ট দিয়ে কি নন-লাইফ বীমার টেকনিক্যালিটি রপ্ত করা সম্ভব? তাহলে নন-লাইফ বীমার ভবিষ্যৎ কি? সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
বর্তমানে একটি ব্যবসার জন্য বীমা কোম্পানীগুলোকে উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ আহরিত প্রমিয়ামের ২০%-২৫% অর্থ ব্যয় করতে হয়। তার সাথে রয়েছে ডেক্স কর্মকর্তাদের বেতনসহ অন্যান্য খরচ। তাহলে বীমা কোম্পানীগুলো কিভাবে চলছে এবং তাদের সলভ্যান্সী মার্জিন কি হবে তা সহজেই বোধগোম্য। বর্তমানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তাদের ৭৫নং সার্কুলারে কোম্পানীর আহরিত প্রিমিয়ামের ১০% কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের জন্য বলেছেন বাস্তবতার নিরিখে তা কতটা যুক্তি সংগত তা ভেবে দেখতে হবে।
তাই আমাদের বীমা শিল্পকে বিদেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে অবশ্যি আমাদের উন্নয়ন কর্মকর্তা, বীমা কর্মী বা এজেন্ট যে কোন একটি বেছে নিয়ে এক খাতের খরচকেই প্রাধান্য দিতে হবে। যা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর ব্যবসা উন্নয়নের সাথে জড়িত সিনিয়র কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল সভায়ও আলোচিত হয়েছে।
উন্নয়ন কর্মকর্তা ও এজেন্ট এই দ্বৈত ব্যবস্থা থেকে বের হতে পারলেই বীমা শিল্পে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এবং কর্তৃপক্ষের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত দেশের আর্থিক বুনিয়াদকে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, বীমা শিল্পে আর উন্নয়ন কর্মকর্তা বা এজেন্ট নয়। যারা বীমায় কাজ করবেন তাঁরা “বীমা কর্মকর্তা” হিসাবে অভিহিত হবেন। এই প্রস্তাব গ্রহণ করে বীমা কর্মীদের যথাযথ সম্মান দিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের পদবী নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।
আমাদের নিয়ম কানুন এমনভাবে তৈরী করতে হবে যা সকলের পক্ষে মানতে কোন অসুবিধা না হয়। শুধু একটি বিষয়ই আমাদের কাছে বিস্ময় বলে মনে হয় অনেকদিন ধরে আমরা নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন কাঠামো ও অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু সকল কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা একই অবস্থানে নয় বলে তা কার্যকর করা যাচ্ছে না বা তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুষম অর্গানোগ্রাম এখন সময়ের দাবী। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে ভার্চুয়াল আলোচনায় বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের অনেকেই এই ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন।
আমাদের দেশে বীমা শিল্পে উপযুক্ত শিক্ষিত জন শক্তি তৈরীর তেমন ইনষ্টিটিউট গড়ে উঠেনি। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমী, একাডেমী অফ লার্নিং এবং বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব প্রফেশনাল ডেভেলপম্যান্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক এন্ড ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট থেকেও তেমন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরী হচ্ছে না। তাই বর্তমানে বীমা শিল্পে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে প্রনোদনা সৃষ্টি করে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর উদ্যোগ সকল বীমা কোম্পানী ও কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
সেদিন আর বেশী দূরে নয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন-এর যৌথ উদ্যোগ বিশেষ করে বীমা উন্নয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে বীমা কোম্পানীর উচ্চ পর্যায়ের কমকর্তাদের আলোচনায় এটা প্রতীয়মান হয় যে, এবার অবশ্যিই বীমা খাত সফল হবে। বীমা পেশাজীবিরাও মান-সম্মান নিয়ে আর দশটা দেশের বীমা কর্মীদের মতো নিজ পেশার স্বীকৃতি পাবে। আমরা নতুন সর্যোদয়ের অপেক্ষায় .......
মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও
ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোং লিঃ
প্রধান কার্যালয়, ৯০/১, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা।
নিজস্ব সংবাদ: এস এম নুরুজ্জামান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর সিইও হিসেবে কর্মরত আছে... বিস্তারিত
নাজমুল হাসান : পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটি আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ বিজয়ের সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন অনুষ... বিস্তারিত
ব্যারিস্টার নুসরত জাহান তানিয়া: বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের অসংখ্য সমস্যার মধ্য... বিস্তারিত
মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শুদ্ধাচার নী... বিস্তারিত
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি ॥ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২০ এ ... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ার... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাইফ বীমা কোম্পানী প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য (আইন) হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ৩ ... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২৮মে,২০২৩ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় কোম্পানীর ৩৫তম বার্ষিক ভার্চুয়াল সাধারণ সভায় শেয়... বিস্তারিত
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের হারুনর রশীদ এজেন্সি অফিসের বীমা গ্রাহক মরহুম মোঃ শামীম ... বিস্তারিত