শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০২:১৭ এএম
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ২৭ মার্চ থেকেই। মুসলিম লীগ নেতাদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী ৩০ এপ্রিল শহরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমেই শহরের ব্যাংকপাড়াস্থ বঙ্গবন্ধুর বাড়ি (বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়) পুড়িয়ে দেয়।
এরপর পাকসেনারা ১০-১২টি দলে বিভক্ত হয়ে শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ির অবস্থান জেনে স্বর্ণপট্টি, সাহাপাড়া, শিকদারপাড়া, চৌরঙ্গী এবং বাজার রোডে লুটপাট করে আগুন দিয়ে প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে হত্যা আর নারী ধর্ষণ শুরু করে।
গোপালগঞ্জ শহরতলীর ৭নং উরফি ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধার সংগঠক (মুক্তিযোদ্ধাদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার জন্য) প্রয়াত আব্দুল ওহাব (রাঙ্গু) গাজী সহ আশেপাশের ইউনিয়নে অসংখ্য বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদাররা উপজেলা পরিষদে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গণকবর দেয়।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে ৬ ডিসেম্বর সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের দিকে আসতে থাকেন। চতুর্দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণবলয় রচিত ও মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্তলগ্নে মিত্র দেশ ভারত প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়ায় এখানকার পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে। পাক সেনারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায়।
৭ ডিসেম্বর ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিযোদ্ধারা। আর সেই সঙ্গে মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ শহর ও এর আশেপাশের এলাকা। ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ শহর মুক্ত হওয়ায় দিনটির স্মৃতি আজও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তাড়িত করে এবং আনন্দে আন্দোলিত হন। গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবসকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা সকালে বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপরে গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুর রহমান খান, গোপালগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার এম. বদরুদ্দোজা বদর সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ। এর আগে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন সহ অন্যান্য সামাজিক সংগঠন র্যালি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
আফজাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: কুমিল্লার কংশনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চলছে বইমেলা। গতকাল সোমবার প... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : কলসকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক ছাউনির জন্য কলসকাঠী নাগরিক সমাজ, ঢা... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলাধীন ৮ নং নলুয়া ইউনিয়নের আফালকাঠী জয়নাল আবেদিন মা... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত কলসকাঠী ইউনিয়নের ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদ... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: মুগদা প্রেসক্লাব-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পূর্ণমিলনী ও অলোচনা সভা। গত ১৩ মে ২০... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুগদা থানা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির খেলোয়াড়দের গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমা সুবি... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ : ধারাবাহিক বীমা দাবী পরিশোধের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক// পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ননলাইফ বীমা কোম্পানী সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কো... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ: অদ্য ২৫ মার্চ ২০২৪ সোমবার কুমিল্লা জেলার কোম্পানিগঞ্জ সার্ভিস সেন্টারে জেনিথ ইসলামী... বিস্তারিত