শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৮ পিএম
বাঙালি জাতিসত্তার সাথে তিন হুমায়ুন ওতপ্রোতভাবে জড়িতো। বলতে পারি আমাদের শৈশব থেকেই আমরা এই তিন হুমায়ুনদের জাদু শৈলীর সাথে যুক্ত। একজন যেমন কলমের জাদুতে আচ্ছন্ন করেছেন তার সৃষ্টির মাধ্যমে অন্যজন তেমনি অভিনয়ের দিয়ে। তৃতীয় জন আবার মুক্ত চিন্তার জনক। বলিছ হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন ফরিদী এবং হুমায়ুন আজাদের কথা।
হুমায়ূন আহমেদ তার ‘রজনী’ কাব্যগ্রন্থে উৎসর্গপত্রে লিখেছিলেন, ‘মহিলা সমিতির সামনে দেখলাম ছোটখাটো একটা জটলা, এগিয়ে গিয়ে দেখি যুবক বয়স্ক এক লোক চা খাচ্ছে, আর একদল যুবক তাকে ঘিরে ধরে চা খাওয়া দেখছে, যুবকটি হুমায়ুন ফরিদী। আমার
এই বইটি সেই যুবককে উৎসর্গ করলাম।’
তিনি ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এটিএম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তার অবস্থান ছিল তৃতীয়। ছোটবেলায় ছন্নছাড়া স্বাভাবের জন্য ফরিদীকে ‘পাগলা’ ‘সম্রাট’,‘গৌতম’—এমন নানা নামে ডাকা হত। তিনি ১৯৬৫ সালে পিতার চাকরীর সুবাদে মাদারিপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এ ভর্তি হন। এ সময় মাদারিপুর থেকেই নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। তার নাট্যঙ্গনের গুরু বাশার মাহমুদ। তখন নাট্যকার বাশার মাহমুদের ‘শিল্পী নাট্যগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে কল্যাণ মিত্রের ‘ত্রিরত্ন’ নাটকে ‘রত্ন’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে জীবেন সর্বপ্রথম দর্শকদের সামনে অভিনয় করেন।
এরপর এই সংগঠনের সদস্য হয়ে ‘টাকা আনা পাই’ ‘দায়ী কে’ ‘সমাপ্তি’ ‘অবিচার’সহ ৬টি মঞ্চ নাটকে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।। নয় মাসের যুদ্ধ পরে লাল-সবুজের পতাকা হাতে ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি। এরপরে টানা পাঁচ বছর বহেমিয়ান জীবন কাটিয়ে শেষে অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আল-বেরুনী হলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার সেলিম আল-দীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার সেলিম আল-দীনের সংস্পর্শে আসেন। এই ক্যাম্পাসেই ‘আন্তস্থ ও হিরনন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক লিখে নির্দেশনা দেন এবং অভিনয়ও করেন ফরিদী। সেলিম আল দীনের ‘সংবাদ কার্টুন’-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করে ফরিদী মঞ্চে উঠে আসেন। মঞ্চে তার সু-অভিনীত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘শকুন্তলা’ ‘ফনিমনসা’ ‘মুন্তাসির ফ্যান্টাসি’, ‘কেরামত মঙ্গল’ প্রভৃতি। তিনি ১৯৯০ সালে স্ব-দির্দেশিত ‘ভূত’ দিয়ে শেষ হয় ফরিদীর ঢাকা থিয়েটার জীবন।
মঞ্চ থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করেন। টিভি নাটক থেকে নিতান্তই পেটের তাগিদে এসেছিলেন চলচ্চিত্রের রঙিন পর্দায়। যেখানে গিয়েছেন তিনি, সেখানেই নিজ অভিনয় প্রতিভার গুণে জয় করেছেন দর্শকহৃদয়। ফরিদী বড় পর্দার বাণিজ্যিক এবং বিকল্প ধারা মিলিয়ে প্রায় ২৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর ভিতর প্রথম ছিলো তানবীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে ‘সন্ত্রাস’ ‘বীরপুরুষ’, ‘দিনমজুর’, ‘লড়াকু’, ‘দহন’, ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ‘কন্যাদান’, ‘দুর্জয়’, ‘বিচার হবে’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘আনন্দ অশ্রু’সহ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
নাটকে অসামান্য অবদানের জন্য হুমায়ুন ফরিদীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা প্রদান করেন। ২০০৪ সালে ‘মাতৃত্ব’ ছবিতে সেরা অভিনেতা হিসেবে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরাস্কার। এছাড়া নৃত্যকলা ও অভিনয় শিল্পের জন্য ২০১৮ সালে (মরণোত্তর) একুশে পদক লাভ করেন।
নন-লাইফ বীমা শিল্পের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে আমার মনে হয় অর্থাৎ আমার ব্যক্তিগত মতামত, তা হলো ক... বিস্তারিত
নিজস্ব সংবাদ: এস এম নুরুজ্জামান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর সিইও হিসেবে কর্মরত আছে... বিস্তারিত
নাজমুল হাসান : পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটি আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ বিজয়ের সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন অনুষ... বিস্তারিত
ব্যারিস্টার নুসরত জাহান তানিয়া: বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের অসংখ্য সমস্যার মধ্য... বিস্তারিত
মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ বীমা শিল্প এখন বিকাশমান। বীমা নিয়ে অতীতে অনেক নেতিবাচক কথা হলেও সেটা অনেক... বিস্তারিত
মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শুদ্ধাচার নী... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক// পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ননলাইফ বীমা কোম্পানী সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কো... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ: অদ্য ২৫ মার্চ ২০২৪ সোমবার কুমিল্লা জেলার কোম্পানিগঞ্জ সার্ভিস সেন্টারে জেনিথ ইসলামী... বিস্তারিত
ডেস্ক রিপোর্ট:: অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান হাস... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ: দেশের শীর্ষতম জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর ইসলামী তাকা... বিস্তারিত