অর্থনৈতিক বিবেচনায় চার্টার্ড লাইফ শুরু থেকেই সকল প্রকার বীমা সুবিধা দিয়ে আসছে -এস এম জিয়াউল হক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, চার্টার্ড লাইফ ইন্সু্রেন্স কোম্পানী লিমিটেড।

Bank Bima Shilpa    ০৪:২৯ পিএম, ২০২৩-০১-৩১    130


 অর্থনৈতিক  বিবেচনায় চার্টার্ড লাইফ শুরু থেকেই সকল প্রকার বীমা সুবিধা দিয়ে আসছে -এস এম জিয়াউল হক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, চার্টার্ড লাইফ ইন্সু্রেন্স কোম্পানী লিমিটেড।

সামাজিক নিরাপত্তা, সেবার মানুষিকতা নিয়ে দেশ বিদেশের প্রথিতযশা ব্যাক্তিত্বের সমন্বয়ে উভয় পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ৪র্থ প্রজন্মের লাইফ বীমা খাতের কোম্পানী চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই। দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে চার্টার্ড লাইফ শুরু থেকেই সকল  প্রকার বীমা সুবিধা দিয়ে আসছে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে চার্টার্ড লাইফ ওয়ান স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, অনলাইনে প্রিমিয়াম জমা, দাবী নিষ্পত্তি এবং ডিজিটাল চ্যানেলে দাবি পরিশোধ, চার্টার্ড অ্যাপস প্রিয়জন এর মাধ্যমে সমসাময়িক সকল বীমা কোম্পানি থেকে নিজেদের আলাদা করে তুলেছে। আমি মোঃ আবুল বাশার হাওলাদার, সম্পাদক, ব্যাংক বীমা শিল্প পত্রিকা- বর্তমান বীমা সেক্টরের অবস্থা এবং চার্টার্ড লাইফ-এর ব্যবসায়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য মুখোমুখি হয়েছিলাম কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এস এম জিয়াউল হক এর, সে সব কথা সাক্ষাৎকার হিসেবে নিম্মে উপস্থাপন করা হল :

ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা দাবী পরিশোধে চার্টার্ড লাইফের সক্ষমতা এবং দাবী পরিশোধে সেবার মান সম্পর্কে বলুন?
এস এম জিয়াউল হক : চার্টাড লাইফের যে লাইফ ফান্ড ও বিজনেস গ্রোথ আছে তাতে দেশের প্রতিটি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মতো দাবী পরিশোধের সক্ষমতা চাটার্ড লাইফেরও আছে। ২০১৯ সালে যেখানে আমাদের লাইফ ফান্ড ছিলো মাত্র ৪ কোটি টাকা সেখানে আগামী ২০২৩ সালে আশা করছি আমাদের লাইফ ফান্ড হবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ লাইফ ফান্ডের এই ধারাবাহিক উর্ধ্বগতিই বলে দেয় কোম্পানির সক্ষমতা, স্বচ্ছতা এবং দাবী পরিশোধের বিষয়টি। সেটা কোম্পানির ব্যবসায়িক গ্রোথ এর চিত্রেও ফুটে উঠেছে। এছাড়া আমাদের দক্ষ ও বিচক্ষণ কর্মীদের সেবা দেওয়ার যে মানসিকতা রয়েছে এবং পরিচালনা পর্ষদও যেভাবে নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করছে তাতে আমার বিশ^াস অচিরেই আমরা অন্যন্য অবস্থানে যেতে সক্ষম হবো। কোভিড টাইমেও আমরা দ্রুত দাবি পরিশোধের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি, যা এখনো চলমান রয়েছে। সম্প্রতি শেয়ার মার্কেটের একজন বিনিয়োগকারী যিনি লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের মাধ্যমে আমাদের গোষ্ঠী বীমার আওতায় ছিলেন। তার মৃত্যু দাবীর চেক তৃতীয় দিনে দিয়েছি, দুই দিন আমাদের পেপার প্রসেসিংএ সময় লেগেছে। সেই জায়গা থেকে আমি বলবো দাবী পরিশোধের সক্ষমতা, সেবা দেওয়ার মানুষিকতা ও  ন্যায়পরায়নতা এই তিনটি গুণই বোর্ড থেকে শুরু করে সকল কর্মীদের রয়েছে আর সেটাই চার্টার্ড লাইফের মূল শক্তি।
এক নজরে চার্টার্ড লাইফের ব্যবসায়িক গ্রোথ-
লাইফ ফান্ড-
২০১৮ সালে ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা
২০১৯ সালে ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা
২০২০ সালে ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা
২০২১ সালে ৩৫ কোটি ২২ লাখ টাকা
মোট সম্পদ-
২০১৮ সালে ২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা
২০১৯ সালে ৩২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা
২০২০ সালে ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
২০২১ সালে ৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা
মোট প্রিমিয়াম আয়-
২০১৮ সালে ১১ কোটি টাকা
২০১৯ সালে ১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা
২০২০ সালে ৩১ কোটি ১২ লাখ টাকা
২০২১ সালে ৫১ কোটি ৬২ লাখ টাকা

ব্যাংক বীমা শিল্প : কি ধরনের সেবা পণ্য আপনারা পলিসি হোল্ডারের কাছে বিক্রি করেন?
এস এম জিয়াউল হক : বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে অনুমোদিত যেসকল প্রোডাক্ট রয়েছে সেগুলো চার্টার্ড লাইফ বিক্রয় করছে যেমন; মেয়াদী বীমা, তিন কিস্তি, পাঁচ কিস্তি মেয়াদী বীমা, সঞ্চয়ী বীমা, পেনশন বীমা, গোষ্ঠী বীমা, মানি ব্যাক পলিসি এর পাশাপাশি চার্ডার্ড লাইফ চাহিদাভিত্তিক কিছু প্রোডাক্ট নিয়েও কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চার্ডার্ড লাইফ একটি কম্প্রিহেনসিভ লাইফ এবং হেলথ টার্ম ইন্স্যুরেন্স প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছিলো। এটা একটা নতুন উদ্যোগ। যার মাধ্যমে আমরা ৩ হাজার টাকা দিয়ে ৩ লাখ টাকার কাভারেজ দিচ্ছি। এছাড়া চাটার্ড নিরাপত্তা পলিসির মাধ্যমে প্রতিদিন তিন টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে আমাদের সকল গ্রাহককে অর্ন্তভূক্ত করার চেষ্টা করেছি। এই পলিসি গত তিন বছরে আমরা প্রায় ৩ হাজার সেল করতে পেরেছি। এর বাইরেও শরীয়াহ ভিত্তিক প্রোডাক্ট আনার জন্য আল-বারাকাহ ইসলামী উইং তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে ৬ থেকে ৭টি নতুন প্রোডাক্ট বিক্রয় করার জন্য আইডিআরএ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, চার্ডার্ড লাইফ ফোকাস করেছে নতুন নতুন প্রোডাক্ট, স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে। যেগুলোর কার্যক্রম চলছে। ভবিষ্যতে এই নতুন প্রকল্পগুলো আনবো। এছাড়া একক বীমার পাশাপাশি আমরা গোষ্ঠী বীমায় নজর দিয়েছি। আমাদের মূল বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ গোষ্ঠী বীমার মাধ্যমে আসে। আমরা প্রায় শতাধিক কোম্পানির কর্মীদেরকে গোষ্ঠী বীমার সাথে অর্ন্তভূক্ত করতে পেরেছি। এর বাইরেও আমরা অল্টারনেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য উদ্ভাবনী প্রোডাক্ট পাইলটিং করছি। যেগুলো আরো ব্যাপকতা পাবে। ব্যাংকাসুরেন্স সরকারের নীতির অপেক্ষায় রয়েছে যা বাজারে আসলে আমরা সেদিকেও নজর দিবো।

ব্যাংক বীমা শিল্প : সম্প্রতি চাটার্ড লাইফ আইপিও’র মাধ্যমে উভয় শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হয়েছে, একজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার সাধারণত ক্যাপিটাল গেইন এবং ডিভিডেন্ড গেইন দুটোই প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রত্যাশা করেন, সেক্ষেত্রে চাটার্ড লাইফ’র পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের  প্রত্যাশার প্রাপ্তি ঘটাতে কি ধরনের ভূমিকা পালন করবে বলে আপনি মনে করেন?
এস এম জিয়াউল হক : আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের একটি আস্থার জায়গা রয়েছে। এটা শুধু এদেশেই নয় সমগ্র বিশে^। কারণ ইন্স্যুরেন্স যেহেতু একজন গ্রাহককে বীমার মাধ্যমে সুরক্ষা সেবা দেয় সেখানে বিনিয়োগকারীরাও মনে করে এই শেয়ারের মাধ্যমে তার আমানত সুরক্ষিত থাকবে। এই আস্থার জায়গাটিই প্রতিটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মূলমন্ত্র। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। চার্টার্ড লাইফ নয় বছরের প্রতিষ্ঠান। ৫ থেকে ৬ বছর গেছে আমরা তেমন গুছাতে পারিনি। এর মধ্যে আবার শুরু হলো কোভিড মহামারী। নানা প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়েছে। এরই মধ্যেই আমরা ঘুঁরে দাড়াতে সক্ষম হয়েছি। পর পর দু’বছর প্রায় ৭০ শতাংশের উপর ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি আনতে পেরেছি। আমার দৃঢ় বিশ^াস, আগামী দিনগুলোতে পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি পাবে। এক সময় চার্টার্ড লাইফে কোন পলিসি বোনাস ছিলো না। এখন প্রথম বছর ৩০ পরবর্তী বছরে ৬০ টাকায় আনতে পেরেছি তেমনি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের বিষয়টিও আমাদের চিন্তুাধারায় রয়েছে। লভ্যাংশের বিষয়টি যেহেতু টেকনিক্যাল বিষয় এখানে অ্যাকচুরিয়াল ক্যালকুলেশন হবে, ভ্যালুয়েশন হবে, সারপ্লাস হবে, তারপরই আমরা ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবো। এক্ষেত্রে আমি বলবো আমাদের ম্যানেজমেন্ট এবং পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেকেই অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যেকেই ভালো রিটার্ন পায়।

ব্যাংক বীমা শিল্প : চাটার্ড লাইফের কর্পোরেট কালচার এবং প্রযুক্তিগত দিকগুলো জানতে চাচ্ছি?
এস এম জিয়াউল হক : আমি যেটা মনে করি, চাটার্ড লাইফের কর্পোরেট কালচার, প্রযুক্তিগতদিক ও প্রোডাক্ট এই তিনটিই হচ্ছে মূল শক্তি। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে পলিসি পরিচালনার গাইড লাইন দিয়ে থাকে। আমাদের সেলস পলিসি কি, তাদের প্রত্যাশা কি, সুশাসনের ক্ষেত্রে আমরা কি কি করবো তার নির্দেশনা এবং বোর্ড মিটিং হলে সে নির্দেশনার কতটুকু পরিপালন হয়েছে সে দিকে নজর দেন। পরিচালনা পর্ষদ বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের অবস্থান দেখেন। চার্টার্ড লাইফে প্রতিটি বিষয়ের জন্য কমিটি আছে যেমন ম্যানেজমেন্ট কমিটি, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কমিটি, ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিটি, আইডিআরএ’র কমপ্লায়েন্স কমিটি, প্রকিউরমেন্ট কমিটি রয়েছে। প্রত্যেকটি কমিটিরই রিপোর্টগুলো ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে বোর্ডে যায়। এখানে চেইন অব কমান্ডের মধ্যে চলছে পুরো প্রক্রিয়া। তাই প্রত্যেকটি জায়গায় সুশাসন বিরাজ করে। এই প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমরা ডিজিটালাইজেশনকে একীভূত করে গ্রাহকের সেবা প্রাপ্তিকে সহজ করেছি। গ্রাহক যেমন টাকা সহজে জমা দিতে পারছেন, তেমনি ফেরতও পাচ্ছেন সহজে। আমাদের ওয়ান স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটর্ফম, অ্যাপস, কাস্টমাইজ ওয়েবপেইজ সলিউশন রয়েছে। দাবী জমা, নিষ্পত্তি এমনকি পরিশোধও হচ্ছে ডিজিটাল চ্যানেলে। গ্রাহকের সঙ্গে পথ চলা সহজতর করতে আমরা প্রতিনিয়ত আইটি অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং নতুন আইটি সিস্টেম সংযোজন করছি। গ্রাহকরা যেকোনো মুহূর্তে চার্টার্ড প্রিয়জন অ্যাপসের মাধ্যমে প্রিমিয়ামের তথ্য জানতে পারছেন। এই পুরো সিস্টেমটিই আমাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে। এখন আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ কার্যক্রম এখন পেপারলেসভাবে সমাধান করে যাচ্ছি।

ব্যাংক বীমা শিল্প : সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে বিভিন্ন সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বীমা সেক্টরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও ইতিবাচাক ধারায় ফিরছে না কিংবা এগুচ্ছে না কেন?
এস এম জিয়াউল হক : দেশে দীর্ঘদিন বীমা সেবা চালু থাকলেও এখাতে মানুষের আস্থাহীনতা রয়েছে। আর এই আস্থাহীনতার মূল কারণ হচ্ছে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা। সরকার চাচ্ছে এই আস্থাহীনতার জায়গাটা পুর্নগঠন করতে। সেই আস্থা ফিরিয়ে দিতে সরকার জাতীয় বীমা দিবস, বীমা মেলাসহ নানা আয়োজন করে যাচ্ছে। এছাড়া, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন কিছুদিন বীমা খাতে কেটেছে সে হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেন তিনি বীমা পরিবারের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করেন। এতদসত্ত্বেও সরকার যেভাবে এখাতের আস্থা সংকট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে তার সন্তোষজনক ফলাফল এখনো আসেনি। আর এজন্য আমি মনে করি,  স্বাধীনতার পরবর্তী ১৯৭৩ থেকে ৭৫ সময়কালীন বীমা খাত যেভাবে এগিয়ে ছিলো ৭৫ পরবর্তী ২০১০ সাল পর্যন্ত বীমা খাতে সেভাবে বেগবান হতে পারেনি। এই  দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর বীমাতে মানুষের যে অনীহার তৈরি হয়েছে তারপর ২০১০ সালের পর সরকার আবার সেটাকে পুর্নগঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সরকার আইডিআরএ প্রতিষ্ঠা করলেন, বীমা আইন ২০১০, বীমা নীতি ২০১৪ তৈরি করলেন, বীমা খাতকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ের  আওতায় আনলেন। এই সময়ে বীমা খাতে নতুন যেসব কোম্পানি এসেছে পুরোনো কোম্পানির সাথে তৈরি হয় অসম প্রতিযোগিতা। এই অসম প্রতিযোগিতার কারনে নতুন কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারেনি। পাশাপাশি পুরোনো বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম বার বার প্রচারিত হওয়ায় মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করার চেষ্টাটাও বার বার ব্যহত হচ্ছে। এতে করে যারা ভালো করছে তারা সবসময় বিব্রত হচ্ছে।
আমি মনে করি, দুটো বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন এক, সরকারী যেসব নীতিমালা রয়েছে তার সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা। দুই, কিছু জায়গায় বীমাকে বাধ্যতামূলক করা। তবে বাধ্যতামূলক করলেই হবে না তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেদিকেও তদারকি ব্যবস্থা থাকতে হবে।
আরেকটি বিষয়, দেশে বীমা খাতে চাহিদাভিত্তিক প্রোডাক্ট তৈরি করা প্রয়োজন। আমরা কিন্তু চাহিদাভিত্তিক প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারছি না, কারণ আমাদের অ্যাকচুয়ারির অভাব রয়েছে। সরকার সে অভাব অনুধাবন করে স্কলারশিপের মাধ্যমে দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানে লোক পাঠাচ্ছে অ্যাকচুয়ারি ডিগ্রি নেয়ার জন্য। আমি মনে করি, সরকার আন্তরিকভাবে এ খাত এগিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আমাদের অর্থনীতি যেভাবে বেগবান হচ্ছে সেই তুলনায় বীমা খাত সেভাবে বেগবান হতে পারেনি। অর্থনীতির একটি অন্যতম খাত পেছনে রেখে সামনে অগ্রসর হওয়াও কঠিন। তাই কিছু বিষয়ে এখনি নজর দেয়া প্রয়োজন। যেমন সম্প্রতি শিক্ষা বীমা চালু করা হয়েছে। এটা নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা হয়েছে। প্রত্যেক মাসে এই বীমার কি অগ্রগতি সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। এ রকম করে আরো কিছু প্রোডাক্টের দিকেও দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। যেমন; শিক্ষা বীমার পাশাপাশি সরকার যদি স্বাস্থ্যবীমা, গোষ্ঠিবীমায় নজর দিতো তাহলে বীমা খাত আরও এগিয়ে যেতো। আরেকটি বিষয়, দেশ ডিজিটাল হয়েছে। এখন প্রয়োজন প্রতিটি বীমা কোম্পানিকে ডিজিটালাইজেশন এর আওতায় নিয়ে আসা। ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অতিদ্রুত গ্রাহক সেবাসহ কর্মীদের বীমা বিষয়ে সচেতন করা যায়। এর মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। আমি সাংবাদিক বন্ধুদেরও বলবো বীমা সম্পর্কে মৌলিক, পজেটিভ বিষয়গুলো তুলে ধরুন। যেখানে নেতিবাচক বিষয় রয়েছে সেটাও তুলে ধরুন। মানুষকে বীমা সম্পর্কে সচেতন করার ক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এখনো মানুষ মনে করে ইন্স্যুরেন্স ব্যাংকের মতো, আজকে বীমা করলাম কালকে টাকা উঠিয়ে ফেলবো। এক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ইন্স্যুরেন্স মানুষকে সুরক্ষা দেয়। এক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করতে হবে। যখন বিপদ হবে তখন বীমা সহায়তা দিবে বীমা আমাকে অধিক মুনাফা দিবে না। এগুলো তুলে ধরতে হবে সংবাদপত্রের মাধ্যমে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বীমা মেলা কতটুকু স্বার্থক হয়েছে বলে আপনি মনে করেন।
এস এম জিয়াউল হক : বীমা মেলা রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজিত একটি বিষয়। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মিলে এ মেলার আয়োজন করেছে সে জন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। সরকারের এ সমস্ত উদ্যোগ যত বেশি হবে বীমা সম্পর্কে মানুষ তত বেশি সচেতন হবে। এবার বরিশালে বীমা মেলা হয়েছে। সরকার প্রতিবছর আঞ্চলিকভাবে বিভিন্ন বিভাগওয়ারি পর্যায়ে বীমা মেলা করে যাচ্ছে। এ মেলা হলে মানুষ জানতে পারে এখানে বীমা করা যাবে, দাবী পরিশোধ হবে, বীমা সম্পর্কে জানা যাবে। একটি উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দেশের প্রতিটি বীমা কোম্পানি একসাথে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। যেহেতু বীমা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ কম সেই জায়গা থেকে উত্তরণে আমি মনে করি বীমা মেলা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, এ মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দাবী পরিশোধ করেছে, যাদের এ অঞ্চলে পুরোনো ব্যবসা ছিলো তারা নতুন ব্যবসা আহরণ করতে পেরেছে। এ মেলার মাধ্যমে বরিশালে বীমার বাজার সম্প্রসারণের জায়গাটা আরো বিস্তৃত হয়েছে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : সম্প্রতি জাতীয় বীমা দিবস ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ায় বীমা খাত কিভাবে উপকৃত হয়েছে?
এস এম জিয়াউল হক : প্রধানমন্ত্রী বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত করেছেন এটা আমাদের তিনটা অবস্থা তৈরি করেছেন। একটি হচ্ছে, আমাদের বীমা খাতে কর্মীদের প্রতি যে অনাস্থা, অশ্রদ্ধা ছিলো সেই জায়গাটার উন্নতি হয়েছে। দ্বিতীয়ত বীমা দিবসে যেন কোন বীমা দাবী পরিশোধে বাকী না থাকে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিগুলো বীমা দাবী পরিশোধ করেছে। তৃতীয়ত, জাতীয় বীমা দিবস ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ায় প্রচুর প্রচার প্রচারণা হচ্ছে। যার মাধ্যমে এ খাতে যে ইমেজ সংকট ছিলো তা উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : বর্তমানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?
এস এম জিয়াউল হক : আমি যেটা মনে করি, অতীতের তুলনায় বর্তমান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সামনের দিকে সাফল্যের সূচনা করেছে। কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে জবাবদিহিতার জায়গায় নিয়ে এসেছে সেটা যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান তার কার্যকর রূপ দেখাতে পারবে। এক্ষেত্রে ওনাদের যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে সে বিষয়ে আমরা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আছি এবং সহযোগিতা করে যাবো।

ব্যাংক বীমা শিল্প : লাইফ বীমা খাতের উন্নয়নের জন্য আরো কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
এস এম জিয়াউল হক : আমাদের দেশে সুন্দর সুন্দর আইন আছে কিন্তু এ আইনের প্রয়োগের জায়গায় দুর্বলতা আছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন বীমা খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ধরুন, একটি প্রতিষ্ঠানে ৫০ জনের অধিক কর্মী হলে বীমা বাধ্যতামূলক। আমরা কি সেটি মানছি? এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নীতি ও এর প্রয়োগ। উন্নত দেশে বীমা বাধ্যতামূলক। সেখানে বীমাকে মৌলিক চাহিদার মত গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশেগুলোকে বীমা বাধ্যতামূলক না হলে কেউ স্বেচ্ছায় বীমা করতে আগ্রহী হয় না। সুতরাং আমাদের একটি নীতি থাকতে হবে। বীমাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রবাসীদের বীমা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সরকার, অথচ দেশত্যাগের আগে প্রবাসীদের বীমা আছে কী না তা কর্তৃপক্ষ যাচাই করছে না। এখানে নীতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি একটি চ্যালেঞ্জ। আবার দেখেন, দেশের পোশাকশিল্প খাতে প্রায় ৪২ লাখের মতো কর্মী রয়েছে। সরকার তাদের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করলে এই ৪২ লাখ ব্যক্তি বীমার আওতায় চলে আসে। ১৪ লাখ সরকারি কর্মী রয়েছে। তাদের জন্যও বীমা বাধ্যতামূলক করা উচিত। যদি সব শিল্প কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলা হতো কর্মীদের বীমা না করলে লাইসেন্স বাতিল, তাহলে তারা বীমা করতে বাধ্য হতেন। আবার ধরুন, আমাদের দেশে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল সিম ইউজার আছে। সরকার যদি বীমা নীতি ঠিক করে বলে আমরা তোমার কাছ থেকে ১০ টাকা করে নিবো এবং তোমাদের ইন্স্যুরেন্সের কাভারেজে আনবো এই ১০ কোটি ইউজারের কাছ থেকে যদি ১০ টাকা করে নেই তাহলে মাসে আসে ১০০ কোটি টাকা বছরে ১২শ কোটি টাকা তাহলে এখানে বিশাল লোক বীমার আওতায় চলে আসলো। এসব বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিলে জিডিপিতে বীমার প্রবৃদ্ধি নিয়ে ভাবতে হতো না। এজন্য নীতি ও এর সঠিক প্রয়োগ জরুরি।

ব্যাংক বীমা শিল্প : ২০২৩ সালের কি ভিশনও মিশন নিয়ে কাজ করছেন?
এস এম জিয়াউল হক : চার্টার্ড লাইফ লংটার্ম পরিকল্পনা করেছে ভিশন ২০৩০ এবং ভিশন ২০২৫ নিয়ে। আমরা ২০২৫ সালে কোম্পানিকে কোথায় দেখতে চাই সেটা নিয়ে সম্প্রতি একটি পরিকল্পনা  গ্রহণ করা হয়েছে। তার আলোকে আমরা ২০২৩ সালকেও সাজিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান আগামী বছর দশম বছরে পদার্পন করবে। এই দশম বছরকে আমরা অনাড়ম্ভরভাবে দেখতে চাই। আমাদের কর্মপরিকল্পনায় নতুন পরিকল্প থেকে শুরু করে ব্যবসা উন্নয়নে নতুন নতুন এলাকা এবং আমাদের ব্যবসায়িক যে গ্রোথ সেটাকে একটা অন্য মাইলেজে নিয়ে যেতে চাই। সেই পরিকল্পনা আমরা অলরেডি করেছি। সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য আমরা জানুয়ারির ১ তারিখে আমাদের পরিকল্পনাকে প্রকাশ করবো। জানুয়ারিতেই আমরা পুরো সেলস ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যারা রয়েছে তাদের ঢাকায় নিয়ে আসবো। আগামী বছরের পুরো কর্মপরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের জন্য সকলকে সংগঠিত করেছি। এর পাশাপাশি যেহেতু আমরা শেয়ার মার্কেটে এক বছর হবে এসেছি আমরা পলিসি হোল্ডারদের যেমন ভালো বোনাস দিচ্ছি সেক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগকারীদের ভালো রিটার্ণ দিতে পারি তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।


রিটেলেড নিউজ

তৃতীয় পক্ষ ঝুঁকি বীমা বাতিলে রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার-সাঈদ আহমেদ, চেয়ারম্যান, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

তৃতীয় পক্ষ ঝুঁকি বীমা বাতিলে রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার-সাঈদ আহমেদ, চেয়ারম্যান, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

A. B. Howlader

সাঈদ আহমেদ একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেক... বিস্তারিত

বাধ্য না হলে কেউ ইন্স্যুরেন্স করতে আসেনা অথচ জীবন ও সম্পদের একমাত্র নিরাপত্তা দেয় ইন্স্যুরেন্স-মো. মোশারফ হোসেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

বাধ্য না হলে কেউ ইন্স্যুরেন্স করতে আসেনা অথচ জীবন ও সম্পদের একমাত্র নিরাপত্তা দেয় ইন্স্যুরেন্স-মো. মোশারফ হোসেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

Bank Bima Shilpa

বিশিষ্ট বীমা ব্যাক্তিত্ব মো. মোশারফ হোসেন নিজ কোম্পানির পাশাপাশি বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্... বিস্তারিত

টেকসই অর্থনীতির অন্যতম উপাদান বীমা-হাসান তারেক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

টেকসই অর্থনীতির অন্যতম উপাদান বীমা-হাসান তারেক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

Bank Bima Shilpa

হাসান তারেক, নন-লাইফ বীমা সেক্টরের অভিজ্ঞতালব্দ, হাসোজ্জ্যল ও সদালাপী একজন উদীয়মান বীমা ব্যক্তিত... বিস্তারিত

পরিবারের সুরক্ষায় জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করা হোক

পরিবারের সুরক্ষায় জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করা হোক

Bank Bima Shilpa

মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ল... বিস্তারিত

বীমা এখন সম্মানের পেশা

বীমা এখন সম্মানের পেশা

Bank Bima Shilpa

মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড মোহাম্... বিস্তারিত

প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জাতীয় বীমানীতি সফলতার চাবিকাঠি

প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জাতীয় বীমানীতি সফলতার চাবিকাঠি

Bank Bima Shilpa

মোঃ মোশারফ হোসেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড মো. মোশারফ হোসেন একজন প... বিস্তারিত

সর্বশেষ

জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবসা উন্নয়ন সভা ও সেলস মোটিভ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবসা উন্নয়ন সভা ও সেলস মোটিভ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

Bank Bima Shilpa

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ব্যবসা উন্নয়ন সভা ও সেলস মোটিভ প্রশি... বিস্তারিত

আফালকাঠী জে,এ মাধ্যমিক এবং স:প্রা: বিদ্যালয়ে ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আফালকাঠী জে,এ মাধ্যমিক এবং স:প্রা: বিদ্যালয়ে ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

Bank Bima Shilpa

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলাধীন ৮ নং নলুয়া ইউনিয়নের আফালকাঠী জয়নাল আবেদিন মা... বিস্তারিত

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য নজরুল ইসলামের মায়ের ইন্তেকাল

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য নজরুল ইসলামের মায়ের ইন্তেকাল

Bank Bima Shilpa

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য (নন-লাইফ) মো. নজরুল ইসলামের ... বিস্তারিত

আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলামের মায়ের মৃত্যুতে জেনিথ লাইফের শোক

আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলামের মায়ের মৃত্যুতে জেনিথ লাইফের শোক

Samsuddin Chowdhury

বীমাউন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (নন লাইফ) মোঃ নজরুল ইসলাম এর প্রাণপ্রিয় মাতা চন্দ্রবান ব... বিস্তারিত