বাধ্য না হলে কেউ ইন্স্যুরেন্স করতে আসেনা অথচ জীবন ও সম্পদের একমাত্র নিরাপত্তা দেয় ইন্স্যুরেন্স-মো. মোশারফ হোসেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

Bank Bima Shilpa    ০৪:২৫ পিএম, ২০২৩-০১-৩১    240


বাধ্য না হলে কেউ ইন্স্যুরেন্স করতে আসেনা অথচ জীবন ও সম্পদের একমাত্র নিরাপত্তা দেয় ইন্স্যুরেন্স-মো. মোশারফ হোসেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

বিশিষ্ট বীমা ব্যাক্তিত্ব মো. মোশারফ হোসেন নিজ কোম্পানির পাশাপাশি বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন দৃঢ় চিত্তে। পেশাদারী মনোভাব নিয়ে যে কয়েকজন কাজ করে যাচ্ছেন বীমা সেক্টরে মো. মোশারফ হোসেন তাদেরই একজন। জনাব মো. মোশারফ হোসেন গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বরিশাল বিভাগের বীমা মেলা এবং নন লাইফ বীমা সেক্টরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ব্যাংক বীমা শিল্প পত্রিকার সম্পাদক আমি মোহাম্মদ আবুল বাশার হাওলাদার তার সাথে আলোচনার জন্য মুখোমুখি হই। সে সব কথা সাক্ষাৎকার হিসেবে নিম্মে উপস্থাপন করা হলো:

ব্যাংক বীমা শিল্প : বরিশাল বিভাগে উদযাপিত বীমা মেলা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাচ্ছি?
মো. মোশারফ হোসেন : বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বীমা উন্নœয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম যৌথভাবে বিভাগীয় বীমা মেলার আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বরিশাল শহরে বীমা মেলার আয়োজন করা হয়। বীমা সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বীমা মেলা আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে বীমা কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ নিশ্চিতকরণসহ ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি অর্জনের বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। বরিশালে আয়োজিত বীমা মেলার কারণে সেখানে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। একটি উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষজন বীমা কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরেছে। এবারে বীমা মেলায় বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় শতাধিক কোটি টাকার উপরে দাবি পরিশোধ করা হয়েছে যাহা বীমাখাতের উপর মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার জন্য বাংলাদেশের বীমা খাত আরো এগিয়ে যাবে। বীমা সম্পর্কে মানুষ সচেতন হবে পাশাপাশি কোম্পানিগুলো আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে বাধ্য হবে।
এছাড়া, জাতীয় বীমানীতি ২০১৪ বাস্তবায়ন করতে হলে বীমা মেলা, জাতীয় বীমা দিবসসহ আরো নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে বীমাকে জনগণের দোর-গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি বীমাযোগ্য ঝুঁকিসমূহ নিরসনে বীমা সম্বন্ধে মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি, বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা উন্নয়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বীমাসেবা পরিচালনায় পেশাদারিত্ব সৃষ্টি এবং বীমা সেবার সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দুর করে বীমা খাতকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার মন-মানষিকতা তৈরি করতে হবে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : নন লাইফ বীমা ব্যবসায় সবচেয়ে বড় সমস্যা কমিশন বাণিজ্য, এসম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি।
মো. মোশারফ হোসেন : নন লাইফ বীমা খাতে কমিশন প্রথা একটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান না হলে এ খাত টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। যদিও এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে আশার কথা হচ্ছে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গোটা সেক্টরকে ডিজিটালাইজেশন এর আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে সেটা সফল করা গেলে হয়তো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য একটি সেন্ট্রাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা বীমা সেক্টরের ডাটাবেজ তৈরি করা। যার ফলে সব কোম্পানির ডাটা সহজেই তাদের হাতে পৌঁছে যাবে। ফলে কোন কোম্পানির কি অবস্থা সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
আমি মনে করি, ডিজিটালাইজেশনের কোন বিকল্প নেই। যদিও বীমাশিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইডিআরএ ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন, বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে। ইউএমপি প্রচলনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থার জায়গা সৃষ্টি হয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যাংক হিসাব নির্দিষ্ট করে দেওয়াটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেমন প্রিমিয়াম জমা করার জন্য একটি হিসাব, অন্যান্য ইনকামের জন্য একটি হিসাব, শেয়ারের জন্য একটি হিসাব, ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের জন্য একটি হিসাব, চালানের জন্য একটি হিসাব, পুন:বীমা এবং দাবী পুরনের জন্য আলাদা আলাদা হিসাব খুলতে হয়েছে। এই সমস্ত পদক্ষেপ বীমা সেক্টরে আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে ভুমিকা রাখছে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : আমাদের দেশে নন লাইফ বীমা পণ্যে নতুনত্ব নেই কেন?
মো. মোশারফ হোসেন : এ বিষয়ে আমি যেটা মনে করি, দেশের বীমা খাতে মেধাবী ও সৃষ্টিশীল সাহসী মানুষের অভাব রয়েছে, পাশাপাশি বীমাখাতে মানুষের যে আস্থার সংকট সেটাও বীমা পণ্যে নতুনত্ব আনার পথে অন্তরায়। তবে এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হলো, বীমা সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আধুনিক বীমাশিল্পের উপযোগী দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল সৃষ্টির উপযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। যার মাধ্যমে বীমা ব্যবসা পরিচালনা ও পদ্ধতির বিষয়ে পেশাগত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ের মান উন্নয়ন সহজ হবে। বিভিন্ন বীমা কোম্পানি নতুন নতুন বীমাপত্র আনতে পারে তবে তা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে। বর্তমানে বাজারে যেসব পলিসি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জনগন তেমন সচেতন নয়। বাধ্য না হলে কেউ বীমা করতে চাচ্ছে না। এছাড়া এখনো দেশে বীমার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা বা সরকারি ভবন রয়েছে সেগুলোকে বীমার আওতায় নিয়ে আসা যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে বীমার প্রতি মানুষের আগ্রহ কম। যখন অধিকাংশ সরকারি ভবনই বীমার আওতায় নেই সেখানে ব্যক্তি মালিকগন কিভাবে তাদের বাড়ি-ঘর বা সম্পদের বীমা করতে আগ্রহী হবে। এক্ষেত্রে বীমা সেক্টরকে যুগোপযোগী করে বাজারে যেসব পলিসি রয়েছে সেগুলো কিছু বাধ্যতামূলক করা হলে বীমা সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে তখন কোম্পানিগুলোও বীমা পণ্যে নতুনত্ব আনয়নে সচেষ্ট হবে।  

ব্যাংক বীমা শিল্প : নন লাইফ বীমা ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয় সর্বোচ্চ নির্ধারণী বিধিমালা-২০১৮ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার, এ সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি?
মো. মোশারফ হোসেন : এটা একটি ভালো উদ্যোগ। ইহা বাস্তবায়নের জন্য আইডিআরএ বহু পদক্ষেপ নিয়েছে যাহা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) সবাই মিলে উদ্যোগে সাড়াও দিয়েছে। পরিপালনের ক্ষেত্রে দেখা যায় সেটা আবার আমাদের দ্বারাই ভঙ্গ করা হচ্ছে। তবে আমি পূর্বে যেটা বলেছি, ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সীমা নির্ধারন করার ক্ষেত্রে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে অতিরিক্ত খরচ যেসব কোম্পানিগুলো করছে সেগুলোকে ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। তাহলে হয়তো এই আইনের সুফল পাওয়া যাবে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, করোনা মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকটে আমদানি-রপ্তানি ব্যহত হচ্ছে পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার কারণে নন লাইফ বীমা সেক্টরে কি ধরণের প্রভাব পরছে?
মো. মোশারফ হোসেন : বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার ঢেউ আমাদের দেশেও পড়েছে এর মধ্যে ডলার সংকট মরার উপরে খাড়ার ঘা। চলতি বছরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়া এবং অনেক রপ্তানী আদেশ বাতিল হওয়াতে এবং নতুন রপ্তানি আদেশ না আসাতে ডলার সংকটকে আরও প্রকোট করেছে। অনেক তফসিল ব্যাংক ডলার সংকটের কারনে এলসি খুলতে পারছে না। যেহেতু এলসি’র সাথে আমদের নৌ-কার্গো বীমা সরাসরি জড়িত সেহেতু এলসি না হওয়াতে আমাদের নৌ-কার্গো ইন্স্যুরেন্সও কমে গেছে। এতে করে নন লাইফ বীমা খাতে প্রিমিয়াম আয় অনেক কমেছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য এ সংকট তৈরি হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, সরকার আশ^াস দিয়েছে এ ডলার সংকট থাকবে না। ডলার সংকট কেটে গেলে আমাদের ব্যবসাও পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।  
তবে ইদানিং মেরিন ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে যেখা যাচ্ছে, কাভারনোট করা হলেও পরবর্তীতে গ্রাহক পলিসি নিচ্ছে না। পলিসি ছাড়া কাস্টমস থেকে কিভাবে পণ্য খালাস করে সেটা আমার বোধগম্য নয়। পলিসি না নেয়ায় সরকারও এখান থেকে অনেক রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কড়াকড়ি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যেন পলিসি ছাড়া কোন পণ্য কাস্টমস থেকে বের করা না যায়। এখানে প্রয়োজনে সরকার অনলাইন সিস্টেমে পলিসি নেয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। তখন কাস্টমস এ সরাসরি পলিসি প্রেরণ করতে পারি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এখানেও সরকার প্রায় ৪শ থেকে ৫শ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বর্তমানে দেশে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে উপরোক্ত রাজস্ব আয় হলে জাতীয় বাজেটে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তবে গত কয়েক বছর নানা প্রতিবন্ধকতায় কাটাচ্ছে ইন্স্যুরেন্স খাত। বিশেষ করে, মোটর ইন্স্যুরেন্সে আইনি বাধ্যবাদকতা না থাকায় এখানেও প্রিমিয়াম আয় অনেক কমেছে। আগে যেখানে মোটর ইন্স্যুরেন্স থেকে পুরো বীমা খাত ৫শ থেকে ৬শ কোটি ব্যবসা করতো সেটা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখানে সরকারও প্রায় ১শ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। নানা প্রতিকুলতার মাঝেও বর্তমানে বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসা পরিচালনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

 
ব্যাংক বীমা শিল্প : সম্প্রতি সরকার কর্তৃক বীমা সেক্টরকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক” শ্রেণীতে উন্নিত করেছে, বিষয়টিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মো. মোশারফ হোসেন : সম্প্রতি সরকার বীমা সেক্টরকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নিত করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সাধুবাদ জানায়। সরকার বীমা সেক্টরকে গুরত্বপূর্ণ সেক্টর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমি মনে করি, শুধুমাত্র এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে সরকারের যে বীমা নীতিমালা রয়েছে সেটি সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করা একান্ত জরুরী। অনেকে হয়তো বলে, বীমা খাত নিয়ে সরকার কোন পদক্ষেপ নেয় না। কিন্তু আমি মনে করি, বীমা দিবস, বীমা মেলা বা আইডিআরএ গঠন ও বীমা আইন ও বীমা নীতি প্রণয়ন সবগুলোই সরকারের নেয়া ভালো উদ্যোগ। এরই মধ্যে বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত করা সরকার এখাতে আন্তরিক না হলে সম্ভব হতো না। তবে সরকারের এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। এছাড়া, টেকসই বীমা সেক্টরের স্বার্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বীমা প্রতিষ্ঠানসমুহকে আরও সচেতন হতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগনের দোঁড়গোড়ায় বীমা সেবা পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি প্রচলিত বিপণন পদ্ধতিতে আধুনিকতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। সর্বোপরি বীমার যে অপার সম্ভবনা রয়েছে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বেগবান হবে তখন সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো ফলপ্রসু হবে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু বলুন?
মো. মোশারফ হোসেন : নানা প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স। করোনা পরবর্তী চলমান যুদ্ধাবস্থায় পুরো বীমা খাতে এর প্রভাব পড়েছে। সেই প্রভাব আমাদের কোম্পানিতেও কিছুটা পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে এলসি হচ্ছে না ফলে এখানে প্রিমিয়াম আয় কমেছে। আবার মোটর ইন্স্যুরেন্স থেকে আগে যে প্রিমিয়াম আসতো সেটা সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়নে থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্স  বাতিল করে আইনি বাধ্যবাদকতা উঠিয়ে দেয়ায় মোটর ব্যবসায়ও প্রিমিয়াম অনেক কমেছে। আমাদের কোম্পানির অনেক ব্র্যাঞ্চ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মোটর ইন্স্যুরেন্সে যে আড়াই তিন কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় হতো সেটা থাকলে কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পারতো। এখানেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ বিষয়ে সরকারে পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তাহলে সকলেই উপকৃত হবে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : বড় ঝুঁকি গ্রহণের পর বীমা দাবি পরিশোধে দেশের বীমা খাতের সক্ষমতা সম্পর্কে কিছু বলুন।
মো. মোশারফ হোসেন : বীমা হলো বিশ^ব্যাপী পারস্পিরিক নির্ভরশীলতার একটি সিস্টেম। এখানে একজনের ঝুঁকি অন্যের নিকট স্থানান্তর করা হয়। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় পুন:বীমা বা রি-ইন্স্যুরেন্স। আমরা যে বীমা করি সেটা আবার রি-ইন্স্যুরেন্স বা পুন:বীমা করা হয়। পুন:বীমা মূলত হচ্ছে নিজস্ব ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত অংশ অন্য কোন এক বা একাধিক পুন:বীমা কোম্পানির নিকট স্থানান্তর করা বা রিস্ক ট্রান্সফার। পুন:বীমার ঝুঁকি গ্রহনকারী কোম্পানিকে বলা হয় রি-ইন্স্যুরার বা পুন:বীমাকারী। পুন:বীমা বা রি-ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা চালু আছে বলেই বীমা কোম্পানিগুলো বড় বড় ঝুঁকি গ্রহণ করতে এবং দাবী পরিশোধে সক্ষম। রি-ইন্স্যুরেন্স দেশেও আবার বিদেশেও করা যায়। বাংলাদেশে এই সংক্রান্ত একটি আইন আছে যেখানে বলা হয়েছে পুন:বীমাযোগ্য বীমা অংক পুরোটাই অর্থাৎ শতভাগ দেশীও পুন:বীমা কোম্পানি অথবা অর্ধেক (৫০%) দেশীও পুন:বীমা কোম্পানির নিকট এবং অবশিষ্ট অর্ধেক (৫০%) বিদেশী রি-ইন্স্যুরেন্স বা পুন:বীমা কোম্পানি নিকট পুন:বীমা করা যায়। পুন:বীমার সকল কার্যক্রম একটি সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলে। দেশে আমাদের একমাত্র রাষ্ট্রয়ত্ব পুন:বীমা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। প্রত্যেক কোম্পানি চুক্তি অনুযায়ী সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাথে পুন:বীমা করে থাকে। সাধারণ বীমা করপোরেশনও আবার তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী বীমা অংকের একটি অংশ রেখে বাকীটা বিদেশে রি-ইন্স্যুরেন্স বা পুন:বীমা করে থকে। যেটাকে রেট্রোসেশন বলে। এখানে দাবি পরিশোধে আর্থিক সক্ষমতা কোন বিষয় নয়, বিষয় হলো মানষিকতার। দাবি পরিশোধে ইতিবাচক মানষিকতা থাকতে হবে। আরেকটি বিষয়, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে আন্ডাররাইটিং ও রি-ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্টে মেধাবী ও দক্ষ জনবল অতীব জরুরী। এই দুই ডিপার্টমেন্টের উপর নির্ভর করে কোম্পানির দাবি পরিশোধে সক্ষমতা। যারা এ দুই ডিপার্টমেন্টে কাজ করে তারাই মুলত রিস্ক এনালাইসিস করে। যে কোম্পানি যত ভালোভাবে রিস্ক এনালাইসিস করতে পারবে সে কোম্পানি তত সুন্দরভাবে আন্ডাররাইটিং ও রি-ইন্স্যুরেন্স করতে পারবে। যারা যত দক্ষতার সাথে আন্ডাররাইটিং এবং রি-ইন্স্যুরেন্স করতে পারবে দাবি পরিশোধেও তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। আর যদি রিস্ক এসেসমেন্ট ঠিকমতো করতে না পারে তাহলে তাদের আন্ডাররাইটিং ও রি-ইন্স্যুরেন্স ঠিকমতো হবে না। তখন দাবি পরিশোধে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। এখানে আরেকটি ফ্যাক্টর কাজ করে যেটা হলো দাবি পরিশোধে ভালো মানষিকতার অভাব, সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে দাবি পরিশোধ করতে গড়িমশি করে।
দাবি পরিশোধে আরো একটি গুরুত্বপুর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে গ্রাহকের সহযোগিতা। অগ্নিবীমা পলিসির ক্ষেত্রে প্রস্তাবপত্র (ঢ়ৎড়ঢ়ড়ংধষ ভড়ৎস) পুরন করা পূর্বশর্ত কিন্তু দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ গ্রাহক প্রস্তাবপত্র পুরন করতে অনিহা প্রকাশ করছেন। এই ক্ষেত্রে আমাদের মার্কেটিং অফিসারদেরও গাফিলতি রয়েছে। তারা সঠিকভাবে গ্রাহককে বুঝিয়ে প্রস্তাবপত্র পুরন করে আনতে পারছেন না। দাবী পরিশোধে প্রস্তাবপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাবী পরিশোধে গ্রাহক যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারে সেই ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়। ইন্স্যুরেন্স করার সময় অনেক গ্রাহক বীমপত্রের শর্তাবলীও ঠিকমত পড়েন না। সঠিকভাবে বীমাগ্রাহক তথ্যাদি উপস্থাপন না করলে বীমাপত্র ভুলভাবে তৈরি হয়। যা ভবিষ্যতে বীমাদাবীর ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করে। আমাদের দেশে অনেক গ্রাহক আছে ইন্স্যুরেন্স করতে আসলে তারা কি কাভারেজ পাবে সেটা না দেখে না বুঝে শুধু কত কমিশন নেয়া যায় সেটা নিয়েই দেন-দরবার করেন। আবার অনেক ভালো গ্রাহকও আছে যারা ঠিকমতো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দাখিল করে যাহা দ্রুত ও সহজভাবে দাবি পরিশোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ব্যাংক বীমা শিল্প : থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্স বাতিল হওয়ায় বীমা খাতে কি ধরনের প্রভাব পরেছে?
মো. মোশারফ হোসেন : ১৯৩০ সালে রোড ট্রাফিক অ্যাক্ট প্রবর্তন করা হয়, যার মাধ্যমে বাধ্যতামূলক বিধিবদ্ধ দায় বীমা (অপঃ. খরধনরষরঃু ওহংঁৎধহপব) চালু করা হয়, এর ফলে দুর্ঘটনায় তৃতীয়পক্ষের কোনো ক্ষতি হলে তা পূরণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়। মোটর বীমায় আগে যে প্রিমিয়াম আয় হতো গোটা বীমা সেক্টরের সে আয় বহুলাংশে কমে এসেছে। এর প্রভাবে প্রিমিয়াম আয় কমে যাওয়ায় অনেক শাখা অফিস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শাখা বন্ধ হলে অনেকেই তাদের চাকরি হারাবেন। ফলে বেকারের সংখ্যাও বাড়বে। শুধুমাত্র একটি পলিসি বাতিল করায় বীমাখাতের পাশাপাশি সাধারন জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা বীমার প্রিমিয়ামের সাথে ভ্যাট ও বীমা স্ট্যাম্প জড়িত।
আমরা ধীরে ধীরে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে অ্যাক্ট লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স বা বিধিবদ্ধ দায় বীমা বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি সার্কভুক্ত প্রতিটি দেশে এই বীমা বাধ্যতামূলকভাবে প্রচলিত আছে। বীমাখাতে মোটরযান বীমার অ্যাক্ট লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স বা বিধিবদ্ধ দায় বীমা বাতিল হওয়ায় মৌলিক নিরাপত্তার অধিকারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদ-কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বর্তমান বিশ^ হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ। সরকার পর্যটন খাতের উন্নয়নে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এই জন্য প্রচুর বিদেশি পর্যটক এবং বিনিয়োগকারী এদেশে আসছে। তারা যদি দেখে যে তাদের জীবনের এবং সম্পদের বীমার মাধ্যমে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিবে। প্রত্যেক উন্নত দেশেই বীমার মাধ্যমে মানুষের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করা হয়। অ্যাক্ট লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স বা বিধিবদ্ধ দায় বীমা বাতিল হওয়ায় এ দেশের মানুষ তার মৌলিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সভ্য জগতে এমন কোথাও নেই যেখানে মানুষ তার মৌলিক নিরাপত্তার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আমি মনে করি মানুষের মৌলিক নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। অ্যাক্ট লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স বাতিল করায় শুধুমাত্র যে বীমাখাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয় এখানে পরিবহন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি তৃতীয়পক্ষের জীবন এবং সম্পদের যে নিরাপত্তার বিষয়টি ছিলো সেটাও এখন আর নেই। তবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মাধ্যমে একটি প্রস্তাবনা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে সরকারকে এই বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত। এই বীমা পুনরায় চালু করা হলে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে তেমনি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে অ্যাক্ট লায়াবিলিটি বা বিধিবদ্ধ দায় বীমায় ক্ষতিপূরণের যে হার সেটা অনেক কম। যেমন মৃত্যু হলে ২০ হাজার টাকা, মারাত্মকভাবে আহত হলে ১০ হাজার টাকা, সাধারণভাবে আহত হলে ৫ হাজার এবং সম্পদের ক্ষতি হলে ৫০ হাজার টাকা মাত্র। বহির্বিশে^র তুলনায় আমাদের এই ক্ষতিপূরণের হার খুবই অপ্রতুল যেটা সময়োপযোগী করা প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রিমিয়াম হারও বাড়াতে হবে যাতে করে বীমাখাত, পরিবহন খাত ও তৃতীয়পক্ষ সবাই উপকৃত হবে।


রিটেলেড নিউজ

দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে বীমা সরাসরি জড়িত

দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে বীমা সরাসরি জড়িত

A. B. Howlader

এস এম নুরুজ্জামান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এস এম নুরুজ্... বিস্তারিত

মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে বীমার গুরুত্ব অনস্বীকার্য

মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে বীমার গুরুত্ব অনস্বীকার্য

A. B. Howlader

মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ল... বিস্তারিত

তৃতীয় পক্ষ ঝুঁকি বীমা বাতিলে রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার-সাঈদ আহমেদ, চেয়ারম্যান, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

তৃতীয় পক্ষ ঝুঁকি বীমা বাতিলে রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার-সাঈদ আহমেদ, চেয়ারম্যান, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

A. B. Howlader

সাঈদ আহমেদ একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেক... বিস্তারিত

 অর্থনৈতিক  বিবেচনায় চার্টার্ড লাইফ শুরু থেকেই সকল প্রকার বীমা সুবিধা দিয়ে আসছে -এস এম জিয়াউল হক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, চার্টার্ড লাইফ ইন্সু্রেন্স কোম্পানী লিমিটেড।

অর্থনৈতিক বিবেচনায় চার্টার্ড লাইফ শুরু থেকেই সকল প্রকার বীমা সুবিধা দিয়ে আসছে -এস এম জিয়াউল হক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, চার্টার্ড লাইফ ইন্সু্রেন্স কোম্পানী লিমিটেড।

Bank Bima Shilpa

সামাজিক নিরাপত্তা, সেবার মানুষিকতা নিয়ে দেশ বিদেশের প্রথিতযশা ব্যাক্তিত্বের সমন্বয়ে উভয় পুঁজিব... বিস্তারিত

টেকসই অর্থনীতির অন্যতম উপাদান বীমা-হাসান তারেক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

টেকসই অর্থনীতির অন্যতম উপাদান বীমা-হাসান তারেক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

Bank Bima Shilpa

হাসান তারেক, নন-লাইফ বীমা সেক্টরের অভিজ্ঞতালব্দ, হাসোজ্জ্যল ও সদালাপী একজন উদীয়মান বীমা ব্যক্তিত... বিস্তারিত

পরিবারের সুরক্ষায় জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করা হোক

পরিবারের সুরক্ষায় জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করা হোক

Bank Bima Shilpa

মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ল... বিস্তারিত

সর্বশেষ

ন্যাশনাল লাইফের স্বাস্থ্য বীমার ছায়াতলে বিকেএসপির খেলোয়ার

ন্যাশনাল লাইফের স্বাস্থ্য বীমার ছায়াতলে বিকেএসপির খেলোয়ার

Bank Bima Shilpa

বিবিএস নিউজ: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির খেলোয়াড়দের গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমা সুবি... বিস্তারিত

পপুলার লাইফের ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বীমা দাবী পরিশোধ

পপুলার লাইফের ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বীমা দাবী পরিশোধ

Bank Bima Shilpa

বিবিএস নিউজ : ধারাবাহিক বীমা দাবী পরিশোধের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী... বিস্তারিত

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

Bank Bima Shilpa

নিজস্ব প্রতিবেদক// পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ননলাইফ বীমা কোম্পানী  সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কো... বিস্তারিত

জেনিথ লাইফের ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মৃত্যুদাবীর চেক হস্তান্তর

জেনিথ লাইফের ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মৃত্যুদাবীর চেক হস্তান্তর

Bank Bima Shilpa

বিবিএস নিউজ: অদ্য ২৫ মার্চ ২০২৪ সোমবার কুমিল্লা জেলার কোম্পানিগঞ্জ সার্ভিস সেন্টারে জেনিথ ইসলামী... বিস্তারিত