বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২ ০১:৪৯ এএম
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও
স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
৪র্থ প্রজম্মের লাইফ বীমা খাতের কোম্পানী স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড ২০১৪ সালের ১৩ তারিখ প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং বীমা পণ্য বাজারজাত করার অনুমতি পাওয়ার পর থেকে অদ্যবধি সুনামের সহিত লাইফ বীমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কোম্পানীতে রয়েছে একঝাঁক ডাইনামিক এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন এর যোগ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানটি আজ সাফল্যের
দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বদেশ লাইফের বর্তমান ব্যবসায়িক অবস্থান এবং বীমা খাতের বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য ব্যাংক বীমা শিল্প পত্রিকার পক্ষ থেকে সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল বাশার হাওলাদার মুখোমুখি হয়েছিলাম ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন সাহেবের। সে সব বিষয় জানার জন্য সাক্ষাৎকার হিসেবে নিম্মে উপস্থাপন করা হইল-
ব্যাংক বীমা শিল্প : স্বদেশ লাইফ এর ব্যবসায়িক অবস্থা সম্পর্কে বলুন?
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন : স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স চতুর্থ প্রজন্মের কোম্পানী হওয়া সত্বেও পুরনোদের সাথে সমান তালে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম এর সাথে সমন্বয় রেখে নবায়ন প্রিমিয়াম কালেকশন করার চেষ্টা করি, যাতে কোন পলিসি তামাদি কিংবা ল্যাপস না হয় সেদিক খেয়াল রেখেই পলিসি করার চেষ্টা করি এবং মাঠ কর্মিদের আমরা সেভাবেই প্রশিক্ষন দিয়ে থাকি। পর্যায়ক্রমে আমাদের ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম, নবায়ন প্রিমিয়াম, গ্রোস প্রিমিয়াম, মোট সম্পদ, লাইফ ফান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে আমরা সব সময় পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা এবং সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে স্বদেশ লাইফকে তাদের কাছে গ্রহন যোগ্য করে থাকি। আমি আশা করি অচিরে আমাদের কোম্পানী ব্যবসায় সফলতা অর্জন করে শেয়ার বাজারে আসতে পারবে। বাংলাদেশের লোক সংখ্যা এবং আয়তন হিসেবে আমি মনে করি বীমা কোম্পানীর সংখ্যা একটু বেশি হয়ে গেছে। সরকারি বেসরকারী নতুন পুরাতন মিলিয়ে ৩৩টি জীবন বীমা কোম্পানী তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে যে হারে বীমা কোম্পানীর সংখ্যা বেড়েছে সে তুলনায় বীমা ব্যবসার আয়তন বারেনি। তাছাড়া বীমা কর্মীদের নেই কোন আধুনিক প্রশিক্ষন ব্যবস্থা কিংবা জনগণকে বীমার প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য নেই ব্যাপক প্রচার প্রচারণা এবং নিত্য নতুন জীবন বীমা প্রোডাক্ট বাজারে আসছেনা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে জীবন বীমা বাধ্যতামূলক থাকলেও আমাদের দেশে নেই তাছাড়া দেশের সরকারী বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন পর্যন্ত বীমার আওতায় আসেনি যার জন্য জীবন বীমা শুধু একটি যায়গায়ই ঘুরপাক খাচ্ছে এবং সকল সরকারী এবং বেসরকারী জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের মধ্যেই প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয় । সত্য কথা বলতে কি আজ থেকে ৮/১০ বছর আগে কোম্পানীর সংখ্যা কম ছিল ব্যবসা বেশি ছিল, প্রতিযোগিতা কম ছিল ব্যবসা বেশি ছিল। সকল বাধাঁ অতিক্রম করেও পারিপার্শিক পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে পুরাতন কোম্পানীর সাথে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ২০১৪ ইং সালের ১৩ জানুয়ারী স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লাইফ বীমা ব্যবসার অনুমতি পাওয়ার পর থেকে নানান প্রতিকুল পরিবেশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ৭ম বর্ষে পদার্পন করতে সক্ষম হয়েছে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : স্বদেশ লাইফের গ্রাহক সেবা সম্পর্কে বলুন?
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন : শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই জন্য যে গ্রাহক সেবা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। আসলে বীমা ব্যবসার মুলে রয়েছে গ্রাহক সেবা। এই গ্রাহক সেবা যে যত উন্নত করতে সক্ষম হবে সে ততই লাভবান হবে এবং পলিসি হোল্ডার তার কাছেই তত বেশি ধাবিত হবে। তাই আমরা গ্রাহক সেবার মানকেই সবকিছুর আগে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা যথা সময়ে বীমা দাবী পরিশোধ করি এবং আমাদের মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বত্রই আমরা বীমা দাবী পরিশোধে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ফিল্ড পর্যায় থেকে শুরু করে আমাদের প্রত্যেকটি সার্ভিসিং সেন্টার এবং প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত আমাদের কোন মাঠ কর্মির বিরুদ্ধে কোন প্রকার গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ নেই।
ব্যাংক বীমা শিল্প : স্বদেশ লাইফ পরিপূর্ণভাবে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় এসেছে কি?
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন : তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে না চললে ব্যবসা থেকে শুরু করে সব দিক থেকে পিছিয়ে পরার সম্ভাবনা থাকে। তাই সে কথা মাথায় রেখেই আমরা সবকিছুকে প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের স্বদেশ লাইফের গ্রাহকের বীমা পলিসির বিভিন্ন তথ্য এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা সম্ভব।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমাখাত জাতীয় অর্থনীতিতে কি ধরনের ভুমিকা রাখছে বলে আপনি মনে করেন?
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন : ধন্যবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার জন্য। জাতীয় অর্থনীতিতে বীমাখাত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখে চলছে। রাষ্ট্রয়ত্ব জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয়ভাবে তহবিল গঠনে যথেষ্ট ভুমিকা রেখে চলছে। তাছাড়া মালিকানাধীন লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের প্রতন্ত এলাকা থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে তহবিল গঠন করে থাকে যা দেশের অর্থনীতিতে যে ব্যাপক ভুমিকা রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ব্যাংক থেকে শুরু করে সকল অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান এই অর্থের সাথে জড়িত। আমি মনে করি জাতীয় অর্থনীতিতে পোষাক খাতের পরই বীমা সেক্টর গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে চলছে। তাছাড়া এই বীমা খাত থেকে দেশের লক্ষ লক্ষ লোক তাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে পরিবারের রুটি রুজির যোগান দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি দেশের সর্ববৃহৎ মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু থেকে যখন বিশ্ব ব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন কিন্তুু এই বীমা খাতের অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারকে যথেষ্ট পরিমানে আয়কর প্রদান করে থাকে যা জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই আমি মনে করি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা রেখে চলছে দেশের বীমা খাত। সরকারের উচিৎ প্রতিটি পরিবারের সুরক্ষায় জীবন বীমা বাধ্যতামূলক করা।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা দিবস নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন : আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর প্রশ্নের জন্য। বর্তমান বিশ্বে মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে বীমার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আমাদের দেশে এই সম্মানটা আরও আগে পাওয়ার কথা ছিল। যাহোক দেরিতে হলেও আমরা এই দুর্লভ সম্মান পেয়েছি। ইতি পূর্বে কোন সরকারের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের এই সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানও একটা সময় বীমা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ১৯৬০ সালের ১লা মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্ম জীবন শুরু করেন এবং আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীও সবসময় নিজেকে বীমা পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবী করেন। তাই আমি বলব বীমা আজ ছোট পরিসরে নেই। একটা সময় ছিল বীমার কথা শুনলে মানুষ ঘৃনার চোখে দেখত। বীমা দিবস হওয়াতে বীমা এখন অনেক সম্মানের পেশা। এখন অনেক শিক্ষিত লোকের আবির্ভাব হচ্ছে আমাদের বীমা সেক্টরে। তাছাড়া জাতীয়ভাবে সরকার বীমা দিবস উদযাপন করছে, রাজধানী থেকে শুরু করে বিভাগ এবং জেলা উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পরেছে বীমা মেলা এটা আমাদের জন্য অনেক বর সম্মানের বিষয়।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা খাতে সুশৃঙ্খলার যথেষ্ট অভাব রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি কি বলবেন?
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন : এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই তবে আগের তুলনায় এখন অনেক কমেছে। বর্তমান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঠিক দিক নির্দেশনা এবং যোগ্য নেতৃত্বে বীমা সেক্টরে অভুতপূর্ব সাফল্য এবং সুশৃঙ্খলা ফিরে আসতে শুরু করেছে। আপনি হয়ত অবগত আছেন বর্তমান আইডিআরএর চেয়ারম্যান মহোদয় একের পর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বীমা সেক্টরে জবাবদীহিতা এবং স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এখন বীমা কোম্পানীগুলো যথেষ্ট পরিমানে বীমা দাবী পরিশোধ করে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি বীমা আগের অবস্থানে নেই। পর্যায়ক্রমে যথেষ্ট শৃঙ্খলা ফিরে আসতে শুরু করেছে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : স্বদেশ লাইফ নিয়ে আপনার ভবিষৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন?
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন : আমি স্বদেশ লাইফে যোগদানের পর থেকেই একটি পরিচ্ছন্ন এবং ব্যবসা সফল কোম্পানীতে রুপান্তর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা, সময় মত বীমা দাবী পরিশোধ, পলিসি তামাদি না হওয়াসহ সর্ব প্রকারের বীমা সেবা মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। স্বদেশ লাইফের বীমা যাতে মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্যতা পায় সেই আকাঙ্খা নিয়েই আমার পথ চলা।
হাসান তারেক, নন-লাইফ বীমা সেক্টরের অভিজ্ঞতালব্দ, হাসোজ্জ্যল ও সদালাপী একজন উদীয়মান বীমা ব্যক্তিত... বিস্তারিত
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড মোহাম্... বিস্তারিত
মোঃ মোশারফ হোসেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড মো. মোশারফ হোসেন একজন প... বিস্তারিত
সাঈদ আহমেদ, চেয়ারম্যান : গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সাঈদ আহমেদ একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেব... বিস্তারিত
কামরুল হাসান খন্দকার, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চ: দা:), যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কামরুল হাসান খন্দক... বিস্তারিত
বদরুল আলম খান : চেয়ারম্যান, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: মুগদা প্রেসক্লাব-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পূর্ণমিলনী ও অলোচনা সভা। গত ১৩ মে ২০... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বনামধন্য টেলিকম খাতের প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিঃ এ... বিস্তারিত
This is the kind information of all concerned that the Board of Directors of Desh General Insurance Company Limited at its meeting 140th meeting held on April 27, 2022 at 2.30 p.m. by using digital platform approved the First Quarter (Q1) Unaudited Finan... বিস্তারিত
১০ শতাংশ নগদ লভ্... বিস্তারিত