বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ ১১:২৩ এএম
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা : মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক দেশের একজন বিশেষজ্ঞ বীমা ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর অসাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতার পাশাপাশি একটি দীর্ঘ, সাফল্য মন্ডিত এবং অসামান্য পেশাগত অভিজ্ঞতা ও সুনামের অধিকারী। বীমা বিষয়ে গবেষনালব্ধ জ্ঞানগরিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে আজ মেঘনা ইন্স্যুরেন্স এর ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ পদ সিইও এর আসনে অধিষ্টিত হয়ে নন লাইফ বীমা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বের সাথে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি (সম্মান) সহ, প্রথম শ্রেণীতে এম.এস.সি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি এএমইই
কনসালটেন্ট লিমিটেড- এ তত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর পেশাজীবন শুরু করেন এবং এরপর রাইফেল্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যাপনা করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বীমা জগতে তাঁর পেশাগত জীবন শুরু হয় প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদানের মাধ্যমে। তিনি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি থেকে ১৯৯৩ সালে বীমার উপর ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে প্রায় ১০ বছর চাকুরী শেষে তিনি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে অনুষদ সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। প্রায় ১০ বছরকাল চাকুরীর এক পর্যায়ে তিনি ঐ একাডেমিতে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। ইতোপূর্বে তিনি আইবিএটি থেকে (নর্দার্ন বিশ^বিদ্যালয়) এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। একাডেমির চাকুরী শেষে তিনি পিপল্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোহাম্মদ আবু বকর দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, কোর্স, সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। দেশী ও বিদেশী সাময়িক পত্রিকায় তাঁর ১২ টির ও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বহুমুখী প্রতিভাবান এই নন লাইফ বীমা ব্যক্তিত্বের মুখোমুখি হয়েছিলাম আমি ব্যাংক বীমা শিল্পের সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল বাশার হাওলাদার, নন লাইফ বীমা বিষয়ে এবং মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের নানান বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম তার কাছে সে সব কথাই সাক্ষাৎকার হিসেবে নিম্মে উপস্থাপন করা হইল-
ব্যাংক বীমা শিল্প : মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান ব্যবসায়িক অবস্থা সম্পর্কে বলুন ?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বর্তমান অথনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বৈশি^ক মহামারির প্রভাব আমাদের বীমা শিল্পেও পড়েছে। তবে আশার কথা এই যে, নন-লাইফ বীমা শিল্পে এর প্রভাব অনেকটাই কম। মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিঃ ও এর প্রভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২০২০ সালে আমাদের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮০% পূরণে সক্ষম হয়েছে যেখানে প্রায় ২ মাস ব্যবসায়িক সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২মাস বন্ধ না থাকলে হয়ত আমরা আমাদের ১০০% লক্ষ্যমাত্রা পূরনে সফল হতাম। আমরা ২০২০ সালে গ্রোস প্রিমিয়াম আয় করেছি প্রায় ৬২ কোটি টাকা, অবলিখন মুনাফা হয়েছে ২ কোটি টাকা, মোট সম্পদ হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। আমাদের ম্যানেজমেন্ট মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডকে একটি শক্তিশালি ভিত্তির উপর দাড় করানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা ২০২১ সালে এ ব্যাপারে সফলকাম হব ইনশাআল্লাহ্।
ব্যাংক বীমা শিল্প : মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ১৯৯৬ ইং সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর আজ প্রায় ২যুগ হওয়া সত্বেও এখনও শেয়ারমার্কেটে তালিকাভুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাচ্ছি?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : আপনারা জানেন তালিকাভুক্তি একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম। কোম্পানি ২০০৫ সালে তালিকাভুক্তির জন্য BSEC তে আবেদন করেছিল এবং BSEC ঐ সময়ে কিছু Observation দিয়েছিল যা নিয়ে ততকালীন ম্যানেজম্যান্ট পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। কিন্তু আমি আপনাদের আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, বর্তমানে আমরা শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম অত্যন্ত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য কার্যাদী চালাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ্ মার্চ ২০২১ সালে কোয়ার্টার একাউন্ট নিয়ে আমরা BSEC তে তালিকাভুক্তির আবেদন করতে যাচ্ছি এবং আশা করি অচিরেই আপনারা আমাদের কোম্পানীকে শেয়ারবাজারে দেখতে পাবেন।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বর্তমান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : আপনি খুব সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। যদিও আমার মুখ্য নির্বাহীর বয়স তেমন বেশিদিন হয়নি তথাপিও বাহ্যিক অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি বিগত দিনে যারা এই সেক্টরের অভিভাবক ছিলেন তারা শুধু শোষনই করে গেছেন। বীমা সেক্টরের উন্নয়নে কোন দিক নির্দেশনামূলক সহযোগিতা মুখ্য নির্বাহীরা পায়নি। এর অবশ্য অনেক কারণও ছিল। আজ আমরা বীমা বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞ বীমা ব্যাক্তিত্বকে অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি যার জন্য আজ এই বীমা সেক্টরকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখে। তাই আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাজ শুধু নিয়ন্ত্রণ করা না। আমাদের মনে রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বীমা শিল্পের উন্নয়নেও কাজ করতে হবে । জনবলের যথেষ্ট কমতি সত্তেও আমি মনে করি বর্তমান কর্তৃপক্ষ একজন সুযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং কর্তৃপক্ষের প্রকৃত কাজে এর সুফল আমরা ইতোমধ্যে পেতে শুরু করছি।
ব্যাংক বীমা শিল্প : ১ মার্চ, ২০২১ থেকে নন-লাইফের এজেন্ট কমিশন বাতিল করেছে আইডিআরএ, বীমা সেক্টরে কি ধরনের প্রভাব পরবে বলে আপনি মনে করেন?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : এ বিষয়টি আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি। আমি মনে করি, এতে করে বীমা শিল্পে কমিশনের যে অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা আছে তা অনেকটাই কমে যাবে এবং কোম্পানির অর্থনৈতিক ভিত্তি আরও শক্তিশালি হবে, ফলে শেয়ার হোল্ডার পলিসি হোল্ডারসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এর সুফল পাবেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ছোট ছোট বীমা কোম্পানি সমূহ এতে করে ব্যবসা আহরণে ব্যর্থ হবে। এক্ষেত্রে এর সমাধান হিসেবে কর্তৃপক্ষেকে Level playing field তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেন কোন পক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।
ব্যাংক বীমা শিল্প : নন-লাইফ বীমা সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও কি করনীয় বলে আপনি মনে করেন?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : বর্তমানে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ক্ষেত্রে বড় একটি উদ্যোগ হলো ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামুলক হওয়া । কেননা বাধ্যতামূলক না হলে কেউই ইন্স্যুরেন্স করতে চায় না। না চাওয়ার পিছনেও অনেক গুলো কারন বিদ্যমান। আমি মনে করি Self Financed প্রতিষ্ঠান সমূহের ক্ষেত্রেও ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা উচিত এবং পাশাপাশি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সমূহের উচিত গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করা। বীমা’র প্রতি জনসচেনতা বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকার প্রচুর উদ্যোগ গ্রহন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় ১লা মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষনা, এবং জাতীয়ভাবে বীমা দিবস পালন এবং দেশব্যাপী বীমা মেলা আয়োজন ইত্যাদি সরকারের অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। পাশাপাশি বর্তমান IDRA এর চেয়ারম্যান এর বেশ কিছু সাহসী উদ্যোগ যেমন যৌক্তিকভাবে বীমা প্রিমিয়াম কমানো, বীমা কমিশন ০% বাস্তবায়ন, বীমা এজেন্ট এর বদলে বীমা উন্নয়ন কর্মীদেরকে যথাযথ বেতন-স্কেল প্রদান করে কোম্পানীর স্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগদান ইত্যাদি গ্রহনের ফলে নন-লাইফ বীমা সেক্টরে সুদিন ফিরে আসবে বলে আশা করি এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে বীমা এখন সম্মানজনক পেশায় রুপান্তর হয়েছে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয়, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি সহ নানাবিধ নেতিবাচক মন্তব্য আমরা প্রায়ই শুনে থাকি সেক্ষেত্রে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোন অবস্থানে রয়েছে?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : আমরা জানি প্রায় প্রতিটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা এ ও জানি আগষ্ট ২০১৯ এর পূর্বে অধিকাংশ কোম্পানি বড় অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কমিশন প্রদান করত। কিন্তু ২০১৯ এর আগষ্ট থেকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্কুলার জারীর পর সকল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সরকারি রাজস্ব প্রদান করে আসছে। মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সরকারি সকল রাজস্ব সঠিক সময়ে প্রদান করে আসছে। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় আরো কমিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ব্যাংক বীমা শিল্প : দেশের বেকারত্ব দুরীকরণ কিংবা জাতীয় অর্থনীতিতে কি ধরনের ভুমিকা রাখছে নন-লাইফ বীমা খাত?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : আমরা জানি বর্তমানে সরকারি সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ছাড়াও আরো ৪৬টি বেসরসারি নন লাইফ বীমা কোম্পানিতে প্রায় ৩০,০০০ জনবল বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে কর্মরত আছে। এর পাশাপাশি সহযোগী কোম্পানিতেও (সার্ভেয়ার/ব্রোকার/এজেন্ট) বড় অংকের জনবল কর্মরত আছে। যাহা বেকারত্ব দূরীকরনে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। আমরা জানি বীমা কোম্পানির আহরিত মূলধনের বড় একটি অংশ ব্যাংক সমূহে গচ্ছিত থাকে যাহার মাধ্যমে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : দেশে বর্তমানে ৪৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানী সেবা দিয়ে যাচ্ছে, দেশের পরিধি অনুসারে বীমা সংখ্যা বেশি নয় কী?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : আমি মনে করি বর্তমানে দেশে যে বীমা ব্যবস্থা বিদ্যমান তার তুলনায় ইন্সুরেন্স কোম্পানির সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে এখনও যেসব সরকারি বেসরকারি সেক্টর বীমার আওতায় আসেনি তাদেরকে বীমার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে হয়ত এই সংখ্যা দেশের পরিধি অনুযায়ি তুলনামূলক বেশি হবে না।
ব্যাংক বীমা শিল্প : সম্প্রতি আইডিআরএ প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর থার্ডপার্টি বাতিল করেছে, সেক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইন করে তৃতীয় পক্ষ (Third party) মটর বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পিছনে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ ও রয়েছে। যদিও Comprehensive Insurance Third party ঝুঁকি বহন করে কিন্তু তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অপর দিকে আমরা জানি, প্রতি বছর ব্যবহার জনিত কারনে গাড়ির মূল্যের অবনতি ঘটে (Depriciation) ফলে কমবেশী ১৫ বছরের অধিক ব্যবহৃত মটরজানের সাধারণত Comprehensive মটর বীমা করা হয় না।
আমার মনে হয় যে বিষয়টির সঠিক গুরুত্ব অনুধারণ না করেই এই সিদ্ধান্তটি গ্রহন করা হয়েছে যা পূন:বিবেচনার দাবী রাখে।
ব্যাংক বীমা শিল্প : উন্নয়ন কর্মকর্তাদের এজেন্টে রুপান্তর! আপনার অভিপ্রায় বলুন?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : কোম্পানির সকল উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কে এজেন্ট এ রূপান্তরের প্রক্রিয়াটি বর্তমানে বন্ধ আছে। IDRA কর্তৃক জারীকৃত এ সংক্রান্ত সার্কুলারটিকে আমি সাধুবাদ জানাই।
পাশাপাশি খুব সম্প্রতি IDRA কর্তৃক জারিকৃত সার্কুলার ৮৪/২০২১-এ এজেন্ট কমিশন ০% (শুন্য শতাংশ) করা এবং সকল উন্নয়ন কর্মকর্তাগনকে কোম্পানির নির্ধারিত পে-স্কেলে বেতন ভাতা প্রদানের নির্দেশনা এসেছে যা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। বীমা শিল্পে অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা বন্ধে IDRA এর এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
ব্যাংক বীমা শিল্প : বীমা পেশাকে কেন বেছে নিলেন?
মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক : সত্যি কথা বলতে গেলে বলতে হয় বীমাকে ইচ্ছেকৃত পেশা হিসাবে গ্রহন করা হয়নি। যদিও আজকের দিনে বলা যায়, এ পেশায় এসে ভুল করিনি। বীমার উপর পেশাগত শিক্ষা-প্রশিক্ষন নেওয়ার কারনে বীমার বিস্তৃতি/গুরুত্ব জেনে এ পেশায় এসে নিজকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আর যখন জানতে পারলাম এ পেশায় আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবও এক সময় কাজ করেছেন। তাত্বে করে নিজেকে আরো সম্মানীত বোধ করছি। পেশাগত বিষয়ের উপর যখন সরকারী ঘোষনায় জাতীয় দিবস পালন করা হয় তখন তো এ পেশার গুরুত্ব কতখানি তা সহজে অনুধাবনীয় তাই এ পেশায় নিজেকে একজন পেশাজীবি হিসেবে পরিচয় দিতে এখন গর্ববোধ করি।
এস এম নুরুজ্জামান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এস এম নুরুজ্... বিস্তারিত
মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ল... বিস্তারিত
সাঈদ আহমেদ একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেক... বিস্তারিত
সামাজিক নিরাপত্তা, সেবার মানুষিকতা নিয়ে দেশ বিদেশের প্রথিতযশা ব্যাক্তিত্বের সমন্বয়ে উভয় পুঁজিব... বিস্তারিত
বিশিষ্ট বীমা ব্যাক্তিত্ব মো. মোশারফ হোসেন নিজ কোম্পানির পাশাপাশি বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্... বিস্তারিত
হাসান তারেক, নন-লাইফ বীমা সেক্টরের অভিজ্ঞতালব্দ, হাসোজ্জ্যল ও সদালাপী একজন উদীয়মান বীমা ব্যক্তিত... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাইফ বীমা কোম্পানী প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য (আইন) হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ৩ ... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২৮মে,২০২৩ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় কোম্পানীর ৩৫তম বার্ষিক ভার্চুয়াল সাধারণ সভায় শেয়... বিস্তারিত
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের হারুনর রশীদ এজেন্সি অফিসের বীমা গ্রাহক মরহুম মোঃ শামীম ... বিস্তারিত